মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত শুরু হচ্ছে

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৪ ১২:৩৮:১৮


মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করার কারনে দেশটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তথ্যানুসন্ধানকারী দল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালতের কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদা এই অনুমতি চান।

তদন্তসহ বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আইসিসি বাংলাদেশে মাঠপর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য বাংলাদেশে দাপ্তরিক কাজ শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর। প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ১৬ জুলাই বাংলাদেশে আসছে একটি প্রতিনিধিদল। দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-কৌঁসুলি জেমস স্টুয়ার্ট। এই তদন্তের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের অভিযুক্ত জেনারেলদের বিচারে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি।

প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে নৃশংস অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় এটি স্পষ্ট যে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতে হাজির হওয়ার মতো সুপারিশ তুলে ধরার সুযোগ পাবে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারবেন বিচারকরা।

২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী দল। ওই প্রতিবেদনে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, গণধর্ষণ ও বর্বরতা চালানোর মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। এতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ ছয় জেনারেলকে আইসিসিতে বিচারের সুপারিশও করা হয়।

নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ১৬ থেকে ২১ জুলাই বাংলাদেশ সফর করবে জেমস স্টুয়ার্টের নেতৃত্বাধীন আইসিসির প্রতিনিধিদলটি। এই সফরের সময় আইসিসির প্রতিনিধিরা আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তাঁরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাঁচ দিনের সফরের সময় আইসিসির কর্মকর্তারা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছেও পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র আইসিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।