ফেইসবুক জুড়ে এরশাদের অতীত-বর্তমান

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৪ ১৩:৫৯:১০


বর্ণাঢ্যময় এক রাজনৈতিক জীবনের অবসান হলো।একেবারে চলে যাওয়ার দিনে উঠে এলো তার অতীত-বর্তমানও। মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ফেইসবুকজুড়ে শুরু হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও স্বৈরশাসক এরশাদের ব্যবচ্ছেদও।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াও থেমে নেই। নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করছেন একেকজন একেকভাবে।

কেউ কেউ তার সাম্প্রতিক ছবি দিয়ে মন্তব্য করেছেন। কেউবা তার সামরিক পোশাকের ছবি কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে থাকা ছবি শেয়ার করেছেন।

রিদওয়ান আক্রাম নামের একজন তার মৃত্যুর খবর শেয়ার করে লেখেন, অবশেষে সমাপ্তি হলো এক অধ্যায়ের।আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, মৃত্যু বিতর্কহীন তবে তিনি নন।

জাহিদুল রাফি নামের এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, এরশাদের অনেক ভালো দিক ছিল, সেদিক লক্ষ্য করে আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

গত ২৬ জুন থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন এইচএম এরশাদ। রক্তে হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি লাইফ সাপোর্ট ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।রাজনীতিতে অনেক নাটকের জন্ম দেয়া সাবেক এ সামরিক শাসকের প্রসঙ্গে জাহিদুল ইসলামের পোস্ট, এখন তাহারা কাকে লইয়া রাজনীতি করিবেন? নতুন এরশাদ কে!তার ভক্তেরও কমতি নেই। তাদেরই একজন লিখেছেন- আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক, কিন্তু কাছ থেকে যেটুকু দেখেছি আপনাতে মুগ্ধই হয়েছি।আর একজন লিখেন,  এরশাদ মরছিল নব্বইয়ের ডিসেম্বরেই।

এতদিন রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে তার লাশ নিয়ে টানাটানি করছে। এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল।আরেক পোস্টে একই ব্যক্তির মন্তব্য, ‍”আমি শোক জানাতে পারলাাম না। মানুষের অপকর্ম ঢেকে রেখে প্রশংসা করলে সমাজে অপকর্মের বীজ বপন করা হয়।”তার অতীত তুলে এনে আরেকজন পোস্ট করেন, “৮৭ সালে সংবিধান সংশোধন করে নষ্ট করেছিল রাষ্ট্রের চরিত্র। তবে তা নিয়ে তাকে সমস্যা পড়তে হয়নি। বরং তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা আলোচনায় সংবিধান সংশোধনের সেই অপরাধ ঢাকা পড়ে গেছে। তার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল, কিন্তু সে যে দেশটার এতো বড় ক্ষতি করলো, তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা ছিল না।”

সাজিদুল হক লিখেছেন, পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশের অনেক পুরুষ পিপল বলে থাকেন, “লোকটাই ভালো ছিলো। ব্যাডার ব্যাডা একটা।”১৯৩০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পৈতৃক নিবাস ভারতের কোচবিহারে। পিতার চাকরির সুবাদেই রংপুরে ছিল তাদের স্থায়ী নিবাস।

১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রধান সেনাশাসক থেকে ক্ষমতা দখলের পর নানা কায়দায় তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তার পতন হয়।