দেশের ১৫ জেলায় ১১ লাখ মানুষ বন্যা দুর্গত

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৭-১৬ ১২:০২:৩৭


কয়েকদিন ধরেই টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী অববাহিকায় পানি বেড়েই চলেছে।

দেশব্যাপী১৫টি জেলায় বন্যার বিস্তৃতি ঘটেছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা অন্তত ১১ লাখ বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বন্যায় রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামে পাঁচটি এবং জামালপুরে দুটি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীতে পানি আরও বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সেই সঙ্গে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সব নদীর পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৬৮টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে সোমবার। এরমধ্যে ২৬টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের উজানে থাকা ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে বাংলাদেশে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় অতি ভারি বৃষ্টিতে (৮৯ মিলিমিটার) চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে শেলপুরের নিকলীতে ১২৬ মিলিমিটার।

এদিকে ভরা বর্ষায়ও খুলনা বিভাগের উপর বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। সোমবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।