পূর্ব ভারতীয় এলাকায় আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই সম্ভাবনাময়
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৩ ১৬:৫৮:২০
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর ৩০ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল গত ১৫-১৬ জুলাই, ২০১৯ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী‘ সিডব্লিউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিট ২০১৯’ অংশগ্রহণ করেছে।
এ সম্মেলনটি আয়োজন করে ভারত সম্মেলনে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে নতুন ব্যবসার সুযোগ অনুসন্ধান ও সুদৃঢ় সহযোগিতা তৈরি, প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধির আলোচনা, বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ করা, পণ্যসম্ভার এবং তথ্য বিনিময়। ডিসিসিআই ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, পরিচালক জনাব হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জি. মো. আলআমিন, মোহাম্মদ বাশির উদ্দিন ও আলহাজ্ব দ্বীন মোহাম্মদ, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, প্রাক্তন সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মালিক এবং ঢাকা চেম্বারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। সম্মেলনে সফলভাবে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলটি সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।
পশ্চিম বাংলার শিল্পমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এবং সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিজনেস টু বিজনেস (বি-টু-বি) ম্যাচ মেকিং সেশন এবং মেলার আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, দক্ষিণ এবং দক্ষিপূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অন্যতম যোগসূত্র হয়ে ওঠার সক্ষমতা রাখে এবং ভারত, ভুটান, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের সাথে অর্থনৈতিক সংযোগ গভীরতর করে তুলতে আগ্রহী বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন যে, ভারতের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্পর্ক দ্রুত সম্প্রসারমান।
তিনি জানান, বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আর্থিক মূল্যমান ৯.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানির পরিমাণ এই সামগ্রিক প্রেক্ষিতের মাত্র ৯.১৯ শতাংশ, যা অনেকাংশে বাণিজ্য ঘাটতি তুলে ধরছে। এ ক্ষেত্রে তিনি দুই দেশের বাণিজ্য এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে পারস্পরিক সমমানের একটি কাঠামো সৃষ্টি প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন, যাতে করে শুল্ক এবং শুল্কবিহীন বিবিধ প্রতিবন্ধকতা পরিহারের মাধ্যমে বাংলাদেশী পণ্যসমূহের ভারতের বাজারে রফতানি বৃদ্ধি করা যায়। ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এ অঞ্চল সমূহে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল ও সরাসরি বিনিয়োগের জন্য ভারত ও প্রতিবেশি দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সিডব্লিউবিটিএ’র সভাপতি জনাব সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘পূর্ব ভারতীয় এলাকায় আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই সম্ভাবনাময় এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই রাজস্ব আয়ের প্রেক্ষিতে এটি দ্বিগুণ হওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দেশসমূহের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত করার জন্য আমরা কলকাতাকে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
এই সম্মেলনে প্রতিবেশী দেশসমূহের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মাধ্যমে উভয়পাশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দের একত্রিত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পায় এবং আশা করা যায় সামনের দিনগুলোতে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।