মিঠুন ও মুশফিকের জোড়া ফিফটি বাংলাদেশের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৩ ১৮:৪৫:০৬


মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটি বাংলাদেশের জয়। শ্রীলংকা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি জোরদারের ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।

সোমবার শ্রীলংকার কলম্বোর পি সারা ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন দাসুন সানাকা।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান সংগ্রহ করে ফেরেন সৌম্য সরকার। এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন তামিম। মাত্র ১৩ রানে ফেরেন সৌম্য।

এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। ইনিংসের শুরু থেকে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া জাতীয় দলের নির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু অর্ধশতক হাঁকানোর পর ডি সিলভার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার এ ব্যাটসম্যান। তার আগে ৪৬ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ফের জুটি গড়ে তোলেন মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ৯৬ রান। আকিলা ধনাঞ্জয়ার অফ স্পিনে কাবু হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তার আগে ৩৭ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন রিয়াদ।

রিয়াদের বিদায়ের পর দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। অনবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ভালো খেলা সত্ত্বেও শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে ১০০ বলে ১১টি চার ও এক ছক্কায় ৯১ রান করেন মিঠুন।

দলীয় ২৬২ রানে মিঠুন যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ বলে মাত্র ২১ রান। সাব্বির রহমান রুম্মন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জুটিতে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বাংলাদেশ। ২৬ বলে ৩১ ও ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির-সৈকত।

শ্রীলংকা প্রেসিডেন্ট একাদশ:

৫০ ওভারে ২৮২/৮ (দাসুন শানাকা ৮৬*, শিহান জয়সুরিয়া ৫৬, রাজাপাকশে ৩২, ডি সিলভা ২৮, গুনাথিলাকা ২৬; সৌম্য ২/২৯, রুবেল ২/৩১)।

বাংলাদেশ:

৪৮.১ ওভারে ২৮৫/৫ (মিঠুন ৯১, মুশফিক ৫০, তামিম ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, সাব্বির ৩১*, মোসাদ্দেক ১৫*, সৌম্য ১৩)।

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।