হাকালুকি হাওরে জালে ধরা পড়ছে ইলিশ!
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৮ ১২:৩৩:০০
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে কয়েক বছর ধরেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। এবার অন্যান্য বারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওর প্লাবিত হয়ে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদী থেকেই হাওরে ইলিশ ঢুকেছে বলে মনে করছেন কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
কুলাউড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বর্ষায় হাওরে পানি বাড়ায় কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর সঙ্গে মিলে গেছে। ফলে মেঘনার ইলিশ সহজে হাওরে প্রবেশ করছে। এছাড়া সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভাটিতে ইলিশের আধিক্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
জেলে ময়না মিয়া, মাসুক ও কেরামত আলী জানান, এবার নদীতে প্রতিদিন শত শত ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। হাওরে খুব বেশি ধরা পড়ছে না। এখানে ধরা পড়া ইলিশের ওজন ৩০০-৬০০ গ্রাম।
আছুরিঘাটের মাছ বিক্রেতা ছিদরত আলী, মছব্বির আলী, কিরেন্দ নাথ জানান, হাকালুকিতে একেকটি জালে ৫-৭ কেজি করে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। এগুলোকে জাটকা বলা চলে। ৪-৬টায় এককেজি হয়। প্রতিকেজি ইলিশ ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
হাকালুকি হাওরে ধরা পড়া ইলিশকুলাউড়া উপজেলার মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এই হাওরে প্রচুর ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল।
মৌলভীবাজার হাওর বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, কৃষি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজ উদ্দিন আহমদ বাদশা জানান, আগে হাকালুকি হাওর ও কুশিয়ারা নদীতে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়তো। বুড়ি কেয়ারি বাঁধ হওয়ার পর হাওরে ইলিশ কম পাওয়া যায়। এ বছর বন্যা হওয়াতে ইলিশ ধরা পড়ছে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, হাওরের সঙ্গে নদীগুলো একটি যোগসূত্র রয়েছে। যার কারণেই ইলিশগুলো দলছুট হয়ে গতিপথ পরিবর্তন করে হাওরে চলে আসতে পারে। হাওরে ইলিশের সন্ধান বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। তবে হাওরের ইলিশ নিয়ে আরও গবেষণার দরকার। কারণ হাওরের ইলিশগুলো বড় হয়