আজ ৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হচ্ছে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-৩০ ১১:০০:২১
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ মঙ্গলবার টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে ৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের টিকিটের জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন বাড়িফেরার যাত্রীরা।
টিকিট পেতে গতকাল রাত থেকে অপেক্ষমান টিকিট প্রত্যাশীদের চাপে স্টেশনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করছেন কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে সড়কের কাছাকাছি চলে গেছে লাইন। টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়ে স্টেশন এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সোমবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আর সকাল ছয়টা থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে।
ঈদুল ফিতরের মতো এবারো রাজধানী ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্থানগুলো হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন।
প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। আর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ছয়টা থেকে।
সকাল নয়টা থেকে বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট পেতে গতকাল রাত থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করেছে হাজারো মানুষ।
গতকাল টিকিট বিক্রির প্রথমদিন কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, এবারো রাজধানী ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী খুলনা ও রংপুর বিভাগের টিকিট আমরা কমলাপুর থেকে দিচ্ছি। বিমানবন্দর থেকে দেয়া হচ্ছে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের টিকিটসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজঁগাও থেকে দেয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট। বনানী থেকে দেয়া হচ্ছে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের টিকেট এবং পুরাতন ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকেট।
মন্ত্রী আরও জানান, গতবার এলোমেলো ছিল, এবার পরিবেশ দেখে উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বাকিটা আপনাদের বিবেচনা।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ আগস্ট সম্ভব্য ঈদুল আজহার তারিখ ধরে আমরা ট্রেনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এখানে র্যাব, পুলিশ ও রেলওয়ে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীসহ সবাই একসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।