উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই: বিডা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৭-৩০ ১৮:১৬:২৭


উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযের মুখ্য সমন্বয়ক (এজডিজি বিষয়ক) মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর  কনফারেন্স কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে “ ক্ষুদ্র ঋণ, উদ্যোক্তা অর্থায়ন এবং বিনিয়োগ” বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথি বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, তাঁদের ঋণ সহায়তা প্রদানসহ, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, পরামর্শ প্রদান এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকর্পোরেশন (বিসিক), এসএমই ফাউন্ডেশন, কর্ম সংস্থান ব্যাংক, প্ললী সঞ্চয় ব্যাংক, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন , বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক এর প্রতিনিধিগণ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ, উদ্যোক্তা অর্থায়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন ।

প্রধান অতিথি এর বক্ত্যবে মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশের অর্থনীতির প্রাণ, এদের উন্নয়নের উপরেই দেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে, তাই বিনিয়োগে আগ্রহী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে সব ধরেনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। এবং সেই সাথে শহর ও গ্রামের আগ্রহী বেকার যুব পুরুষ ও মহিলাদের বিনিয়োগে উৎসাহ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে । তবেই আমারা সমন্বিত ভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন করতে পারবো।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন “ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” অর্জনে বেসরকারি বিনিয়োগকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩১.২৩ শতাংশ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে জিডিপির ৩৪ শতাংশ। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিনিয়োগ লক্ষ্য ও বাস্তবতার এ ব্যবধান দূর করতে হবে।

বেসরকারি খাতে দেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দান, শিল্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা ও সহায়তা প্রদান এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি তে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি হতে হবে ১৪ শতাংশ। বর্তমানে এটি ১০ শতাংশের মতো। তাই উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন নতুন উদ্যোক্তারাই পারে বাংলাদেশ কে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে, এজন্য তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে, সফল ব্যাবসায়ীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে, ইনোভেটিভ আইডিয়া, গবেষণা, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাঁদের অনুপ্রাণিত করে যেতে হবে।

এসময় পল্লী উন্নয়ন ব্যাংক এর চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুদার ও বিডার উর্ধ্বত্বন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।