সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি বহাল

আপডেট: ২০১৫-১১-১৮ ১৯:১৫:৫৮


Saka-Mujahidমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

গত ১৪ অক্টোবর ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছিলেন মুজাহিদ। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয় তিন শতাধিক পৃষ্ঠার।

অন্যদিকে সাকা চৌধুরী তার মোট ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১০টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদন শুনানির নির্ধারিত দিন থাকলেও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নট টুডে (আজ নয়)’ বলে আদেশ দেন। সেই মোতাবেক আজ বুধবারের কার্যতালিকায় সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের বিষয়টি ৩ নম্বরে স্থান পায়।

গত ১৪ অক্টোবর ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সাকা চৌধুরী তার মোট ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১০টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন।

অন্যদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

গত ১৪ অক্টোবর ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চান মুজাহিদ। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয় তিন শতাধিক পৃষ্ঠার।

চলতি বছরের ১৬ জুন মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করার পর ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২১ জুন ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনীত রাষ্ট্রপক্ষের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসির দণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ অগাস্ট আপিল করেন মুজাহিদ।