পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৭ ১৫:০০:১৮


পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর সব পিলারের পাইল ড্রাইভিং এবং ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)  মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছিতে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এলাকায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া চীন থেকে মাওয়ায় এ পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। যার মধ্যে ১৪টি পিলারে স্থাপন করা হয়েছে। ১৫তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারে স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ৪টি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ১০টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায়। পদ্মার মতিগতি ও মন মেজাজের ওপর নির্ভর করবে স্প্যান বসবে কবে।

মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে বাকি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে ৩৬১টি স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের পাইলিং পিয়ার ক্যাপের কাজ শেষ। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরায় ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৪৩৮টি সুপার ‘টি গার্ডার’ প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে ১৫৫টির কাজ শেষ হয়েছে।

এছাড়া ৫৬টি জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৮৪টি আই গার্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে জাজিরায় ৪২টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৫০.৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন কাজের মধ্যে ৬.৬০ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭.৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার৩৮৮.৪৬ কোটি টাকা। সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি শতভাগ সম্পন্ন। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ । ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, আজ  সেতু মন্ত্রণালয় সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এমইও স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যপারে আলোচনা হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে আধুনিক ও উন্নত মানের মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে। এ জন্য সব মিলিয়ে ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। সেতু মন্ত্রণালয় এমইও মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গবাদি প্রাণির প্রজনন ও জাত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে জিডিপিতে উন্নতি রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। এই জায়গাটুকু আমাদের পদ্মা সেতুর কোনো কাজে লাগবে না।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতুর পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্ম জায়েদুল আলম প্রমুখ।

সানবিডি/ঢাকা/এবিএস