আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস
প্রকাশ: ২০১৫-১১-২১ ১১:২৩:০৫
আজ ২১ নভেম্বর। সশস্ত্র বাহিনী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। ফলে আমাদের কাঙ্খিত বিজয় ত্বরান্বিত হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্ব গাঁথা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে ৩ বাহিনীর প্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এছাড়া ২০১৪-১৫ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী পদক তুলে দেবেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রেস সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে তিন বাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের উত্তরাধিকারীদের অনুরূপ সংবর্ধনা প্রদান করবেন। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা এবং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসগুলোতেও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। ফলে আমাদের কাক্সিক্ষত বিজয় ত্বরান্বিত হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্ব গাঁথা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বাণীতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।