এফডিআইয়ে প্রচারণা কম: ড. গওহর রিজভী
আপডেট: ২০১৫-১১-২৪ ১৮:৪০:৪৫
এফডিআইয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এবং বিদেশিদের কাছে এর উপস্থাপনের মধ্যে অনেক বেশি তফাৎ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশ, সম্ভাবনা শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) আমাদের অবস্থানের চেয়ে প্রচারণা কম। আমরা যে অবস্থানে রয়েছি, বিদেশিদের কাছে এর উপস্থাপন তার চাইতে অনেক কম হয়। এই তফাৎ দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে, বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল বাংলাদেশ। আমাদের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সরকার এফডিআই নিয়ে কাজ করছে। তবে সরকারের মতো সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা এফডিআইয়ে যে ভালো করছি- তা বিদেশিদের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে আমাদের সমস্যাগুলো চিহিৃত করে অতিরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে অবকাঠামোখাতের উন্নতি, পলিসি সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সব অনিশ্চয়তা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রবাসী বিনিয়োগেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনামে এফডিআই নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর শিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী।
এতে স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের কান্ট্রি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরর এ. আনোয়ার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অপার সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। এখানে দুই ধরনের বিনিয়োগেরই সমান সুযোগ রয়েছে। এফডিআইয়ের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিবেশও এখানে দারুণ।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ তরুণ ও পরিশ্রমী; তাই মানবসম্পদের উন্নতিরও বড় সুযোগ আছে।
দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আবরর এ. আনোয়ার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের ৮০ শতাংশ বিনিয়োগই ব্যক্তিখাতের। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ; এটি অনেক বাড়াতে হবে। এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ট্রাস্ট ফান্ড ও সুভেরেইন বন্ড ইস্যু করতে হবে।
ইন্টান্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বাংলাদেশের পোগ্রাম ম্যানেজার এম. মাসরুর রিয়াজ বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য খাতভিত্তিক উন্নতি ঘটাতে হবে। অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবহন, কৃষি ও জাহাজভাঙ্গা শিল্পে উন্নতি সাধন জরুরি। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি রেগুলেটরদের ভূমিকা শক্তিশালী করতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, সুন্দর পলিসিগত সমন্বয় ভালো ফল বয়ে আনবে।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টের (বিওআই) নির্বাহী সদস্য নাবাস চন্দ্র মণ্ডল।