২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহত ৯৪৫ শ্রমিক
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-০১ ১৬:১১:০৮
প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০১৯ সালে নিহত হয়েছেন ৯৪৫ জন শ্রমিক। আহত হয়েছেন ২৬৬ জন। তাঁদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত ২৬৯ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৬৭৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২৯৪ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক এ সমীক্ষা প্রতিবেদনের এসব কথা বলা হয়। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের (ওশি) এ সমীক্ষা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং ওশির উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেক্টরভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২৯৪ নিহত হয়েছেন, ১৫৬ জন শ্রমিক নির্মাণ খাতে প্রাণ হারান, পোশাকশিল্পে নিহত ৪০ জন, কৃষিশ্রমিক নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং দিনমজুর মারা গেছেন ৪৯ জন। এ ছাড়া ২৩ জন জাহাজভাঙা শিল্পে কর্মরত শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, বয়লার ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন এবং ধাতব আঘাতের কথা বলা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে ওশি কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৮) ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫–এর আলোকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো, বয়লার পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং বয়লার পরিদর্শন দপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা, কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করা।
ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন এস এম মোরশেদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলম হোসেন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা রিয়াদ আরিফ।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস