ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-১৩ ১৮:৩৪:২৮


সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সারাদেশের ভিক্ষুকের পুর্নবাসন কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা সাড়ে ৪শ কোটি টাকার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ পাওয়া পুরো টাকাই ভিক্ষুকের পুর্নবাসনে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি ২০২০)  জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী ওই তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলম।

জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোন জরিপ পরিচালিত হয়নি। তবে, জেলা পর্যায়ের জেলা প্রশাসক এবং জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের জরিপ অনুযায়ী সারাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। এসব ভিক্ষুকের পুর্নবাসন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সাড়ে ৪শ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। দেশের ০.১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুকের পুর্নবাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

আওয়ামী লীগের মো. ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের ১৮ জেলায় ৫১টি উপজেলা ও ইউনিটের অধীনে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা মহিলা ভাতা এবং অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতি তথা জিটুপি পদ্ধতি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২১ হাজার ৪৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা প্রক্কলিক ব্যয়ে সিটিএম প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

একই দলের এ কে এম রহমতুল্লাহ প্রশ্নের জবাবে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সরকারি শিশু পরিবারে পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন ৬-১৮ বছরের শিশুদের লালন পালন করে থাকে। বয়স ১৮ বছর উত্তীর্ণ হলে তাদের বিবাহের, চাকুরির, সামাজিকভাবে, প্রশিক্ষণের এবং শিক্ষার মাধ্যমে পুর্নবাসন করা হয়। ৬ বিভাগে ৬টি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস