কারখানায় দুর্ঘটনা রোধে আন্তঃদপ্তর মতবিনিময় সভা করেছে ডাইফ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-১৪ ১৮:৩৫:১১


কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধকরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে আন্তঃদপ্তর মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)। আজ মঙ্গলবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিদর্শক জনাব শিবনাথ রায়-এর সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো উক্ত মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব কে এম আলী আজম বলেন, কারখানায় দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থাকে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যার যার পক্ষ থেকে তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে আমাদের যাতে আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকে সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থার সমন্বয়ে একটি আন্তঃদপ্তর মনিটরিং কমিটি গঠন করার বিষয়ে সচিব নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ডাইফ-এর মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব শিবনাথ রায় বলেন, বিভিন্ন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ডাইফ-এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বয়লার পরিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ, রাজউক এবং বিদ্যুৎ বিভাগ প্রত্যেকেরই স্ব স্ব কর্মপন্থা রয়েছে। কারখানায় দুর্ঘটনা রোধে একটি সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা বর্তমানে অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

কেমিক্যাল, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বল্প মেয়াদী (১-৬ মাস), মধ্য মেয়াদী (৭-১২ মাস) এবং দীর্ঘমেয়াদী (এক বছরের উর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে জনাব শিবনাথ রায় বলেন, আমরা পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি: (১) পুরান ঢাকার দুর্ঘটনাপ্রবণ সেক্টরসমূহের কারখানার তালিকা হালনাগাদকরণ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ। (২) আন্তঃদপ্তর ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন (৩) দুর্ঘটনাপ্রবণ সেক্টরসমূহের মালিক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে অবহিতকরণসভার আয়োজন। (৪) কারখানা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন (৫) নির্বাচিত আরএমজি কারখানা, প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল কার‌খানার অ্যাসেসমেন্ট ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজউক, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ, বয়লার ডিপার্টমেন্ট, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সানবিডি/ঢাকা/এসআই