মৎস্য সম্প্রদায়ের টিকে থাকার যুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০১-২৭ ১২:১৩:১৩


ঐতিহ্যগতভাবে আমরা ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ উপাধিতে ভুষিত।বাঙালি ভাত খাবে আর পাতে মাছ থাকবে না তা হয় না! ভাতের সাথে মাছ না থাকলে বাঙালির উদরপূর্তি হয় না।তবে দেশের বিভিন্ন এলাকার মত উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে।তাইতো চাইলেও সবসময় প্রিয় প্রজাতির মাছ পাওয়া হয়ে ওঠে না।নদীগুলো যেন দারুন কৃপণ হয়ে গেছে।

একসময় যেই নদীতে জাল ছাপালে মাছের ভারে জাল ‍উঠানোয় যেত না। এখন সেখানে জাল ফেললে হয়তো বা একটি অথবা দুটি-তিনটি এর বেশি মাছ পাওয়া যায় না।একসময় নদীগুলোতে অসংখ্যা প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত।এখন অনেক প্রজাতির মাছই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে পূণর্ভবা নদীর জেলে শুশীল চন্দ্র দাস সা্নবিডি প্রতিনিধিকে জানান, আগে নদীতে জাল ফেললে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। ফলে আমাদের সংসার চালাতে তেমন কষ্ট হত না। কিন্তু এখন নদীতে মাছ ধরতে গেলে প্রায় দিনই খালি হাতে ফিরতে হয়।সংসারে অভাব লেগেই থাকে।তাই বাধ্য হয়েই মাছ মারা বাদ দিয়ে অন্য কাজে যেতে হয়।

আরেক জেলে সাগর চন্দ্র জানান,নদীতে এখন শুষ্ক মৌসুমে কোন পানি থাকে না চারিদিকে শুধু বালু আর বালু।যার ফলে মাছের আবাসস্থল হারিয়ে গেছে তাই এখন আর নদীতে মাছ পাওা যায় না।বর্ষা মৌসুমে কিছু মাছ পাওয়া যায় কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে মৎষ্যকুল হারিয়ে ‍যায়।

না্ব্যতা হারিয়েছে নদীগুলো।নদীর চরে এখন লাগানো হচ্ছে ধান সহ বিভিন্ন মৌসুমী শস্য এসব শস্যে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত কীটনাশক।এসব কীটনাশক পানিতে মিশে মাছের প্রজনন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।পানি দূষিত হওয়ার ফলে প্রচুর মাছ মারা যাচ্ছে।

নদীতীরবর্তী মানুষের আশা নদীগুলোকে ড্রেজিং করে আবার যেন তাদের পুরনো যৌবন ফিরিয়ে আনা হয়।যথাযথভাবে মৎস্য সম্প্রদায়কে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা হয়।

সানবিডি/নুরুজ্জামান