তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিলের রিট খারিজ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-২৭ ১৭:২১:২৯


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা রিটটি পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

নির্বাচনের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গতকাল রোববার রিটটি করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। তাবিথের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

আজ সোমবার আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ের হলফনামার তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ের সুরাহা করা, সত্যতা যাচাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নির্বাচনের পরে যেহেতু বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, তাই ফলাফলের ভিত্তিতে পক্ষসমূহের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনের পরে প্রশ্ন তুলতে পারবেন। বিষয়টি নির্বাচনের পর হলে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

ওইদিন নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী। এ তিনজন কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এ কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

‘এটা বিশ্বের যেকোনো দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এ কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি।’

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এ সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যান, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এ প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য হফলনামায় দিয়েছেন, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।

তবে নির্বাচন কমিশনের ওই আবেদনের বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস