রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মিয়ানমার ভাষায় কারিকুলাম তৈরি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-২৮ ১৪:০৮:৪১


মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মিয়ানমারের ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম (কারিকুলাম) তৈরি করবে ইউনিসেফ। এ বছর জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) অধীনে এই শিক্ষা প্রদান পাইলট প্রকল্প শুরু হবে এবং প্রথমে ১০ হাজার শিশুকে এর আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষা কারিকুলাম তৈরির জন্য ইউনিসেফকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম এবং তারা এ বছরেই তাদের পাইলট প্রকল্প শুরু করবে। এর অধীনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গ্রেড ৬ থেকে ৯-এর শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে শুধু শিক্ষাই দেওয়া হবে না, একটি নির্দিষ্ট বয়সের রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’

সচিব আরও বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ভাষায় শিক্ষা দেবো, যাতে করে তারা নিজের দেশে ফেরত গেলে উপকার পায়।’

উল্লেখ্য, ৩ বছর থেকে ১৪ পর্যন্ত বয়সী শিশুদের শিক্ষা এবং ১৫ বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের দক্ষতা বৃদ্ধি (স্কিল ডেভেলপমেন্ট) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ৩ হাজার ২০০ লার্নিং সেন্টারে ৩ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্য অআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।  রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২৯তম রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) বৈঠকে বিষয়টি বিস্তারিত আলোচিত হয়।

জেআরপি ঘোষণা

রবিবারের এনটিএফ বৈঠকে এ বছরের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের ঘোষিত অন্তবর্তীকালীন আদেশ, জেআরপি, প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তর, ভাসানচর, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তর (রিপ্যাটরিয়েশন ও রিলোকেশন) বিষয়টি জেআরপির একটি কৌশল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাতিসংঘকে আমরা আহ্বান করেছিলাম এবং এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা, সুরক্ষা ও কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি প্রত্যাবাসন ও স্থানান্তর বিষয়টিও জোরালোভাবে জেআরপিতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আশা করছি, আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে তহবিল সংগ্রহের জন্য জেনেভাতে জেআরপি ঘোষণা করা হবে।’

ভাসানচরের বিষয়টি জোরালোভাবে জেআরপিতে উল্লেখ করার জন্য বলেছিলাম এবং সেভাবেই করা হয়েছে বলেও জানান সচিব।

মোবাইল নেটওয়ার্ক

কক্সবাজারে মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ এবং সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা এবিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত যে কমিটি মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে আমাদের সুপারিশ পাঠাবো বলেও জানান সচিব।

উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি কয়েক মাস আগে কক্সবাজার অঞ্চলে মোবাইল ভয়েস ও ডাটা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

সানবিডি/এনজে