ট্রাম্পের শান্তি চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনে বিমান হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-৩০ ১২:২৭:৩৬
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথিত শতাব্দীর সেরা শান্তিচুক্তি ঘোষণা করে। এই শান্তিচুক্তি ঘোষণার পরই আবারো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে বুধবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের মধ্যেই ইসরাইলি বাহিনী এই হামলা চালায়।
সামরিক সূত্রের বরাতে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু এমন খবর দিয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আদ-দ্বিন আল-কাসেম ব্রিগেডসের অবস্থান ও আল-বালাহ শহরের কৃষি জমি লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। অবৈধ রাষ্ট্রটির যুদ্ধবিমান থেকে এসব এলাকায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
তবে এ হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইলি অবরোধে অর্থনৈতিক সংকট কবলিত গাজার কার্যত শাসন করছে হামাস।
এর আগে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকার সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ইসরাইল।
পশ্চিমতীরের বাইবেলের পরিভাষা ব্যবহার করে এক বিবৃতিতে ইসরাইল বলছে– চলমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে জুদেই ও সামারিয়া এবং গাজা বিভাবে শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর আল-আরাবিয়াহর
এদিকে ট্রাম্পের প্রকাশ করা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ফিলিস্তিন। এ পরিকল্পনাকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এ চুক্তি পাস হবে না।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এতে ট্রাম্প ফিলিস্তিনের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র এবং পশ্চিমতীরে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তার পরিকল্পনায় জেরুজালেমকে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে রাখা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে কেবল পূর্ব জেরুজালেমের একটি অংশ আবু দিসকে রাখার কথা বলা হয়েছে। আর পশ্চিমতীরে গড়ে তোলা ইহুদি বসতিসহ সবটাই ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলা হয়েছে।
মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার বলেছেন, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়। আমাদের অধিকার বিক্রির জন্য নয় কিংবা দরকষাকষির জন্যও নয়।
তিনি বলেন, কোনো ফিলিস্তিনি, আরব, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টানের পক্ষে জেরুজালেমকে রাজধানী করা ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেয়া অসম্ভব। আমি হাজার বার বলেছি– এ পরিকল্পনা মানি না, মানি না, মানি না। আমরা শুরু থেকেই এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আসছি এবং আমাদের অবস্থানও ঠিক আছে।
গাজা উপত্যকাতেও মঙ্গলবার ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দিবস পালিত হয়েছে। গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিন দল হামাসও পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সানবিডি/এনজে