৬০০ তরুণের অংশগ্রহণে শেষ হলো চতুর্থ জাতীয় যুব সম্মেলন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০২ ১৪:৪১:২৯
‘জাতীয় উন্নয়নের জন্য তরুণদের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাগো ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সম্প্রতি কক্সবাজারের লং বিচ হোটেলে শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২০। তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা অর্জন, দীর্ঘমেয়াদে বিকাশ ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য উপযোগী প্লাটফর্ম হলো জাতীয় যুব সম্মেলন। এছাড়া এ সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণরা ভিন্ন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয়গুলো সম্পর্কেও ধারণা লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, তারুণ্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর। আর বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যাই তরুণ। তাই আমাদের তরুণদের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। এসডিজি অর্জনে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতীয় যুব সম্মেলন একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম।
শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আগত প্রতিনিধি, দেশের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, কূটনৈতিক এবং সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক ও সারা দেশ থেকে আগত তরুণদের অংশগ্রহণ সম্মেলনটিকে এক মিলন মেলায় পরিণত করে। ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের তরুণ ভলান্টিয়াররা সম্মেলনে তাদের ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি, পরিকল্পনা এবং মানুষের উন্নয়নে তাদের কর্মকাণ্ড সবার সামনে তুলে ধরবে। অন্যদিকে সম্মেলনে আগত অতিথিরা তাদের অভিজ্ঞতা, আইডিয়া, ভবিষ্যতে দেশকে যারা নেতৃত্ব দেবে সেসব তরুণ সমাজের কাছে তাদের প্রত্যাশার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সক্রিয় তরুণ নাগরিকরা সম্মেলন শেষে নিজের জেলায় ফিরে গিয়ে নিজেদের কমিউনিটির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সামনের দিনগুলোতে কাজ করবে।
এ বছর সম্মেলনটিতে সারা দেশ থেকে আগত ৬০০ জন তরুণ অংশ নেয়। সম্মেলনে ৩০টিরও বেশি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭৫ জনেরও বেশি বক্তা এবং একাধিক বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তির সমন্বয়ে প্যানেল ছিল।
জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীরাই সমাজের মেরুদণ্ড। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পৃক্ত করা ও তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। এ তরুণরাই তাদের নিজেদের কমিউনিটির পরিবর্তনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে এবং বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।