কক্সবাজারে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ২৭ দোকান-বসতঘর ভস্মীভূত
প্রকাশ: ২০১৫-১১-২৯ ১২:০১:৪৯
কক্সবাজার শহরে ও উখিয়া উপজেলা স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০টি দোকান ও ৭টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন সম্ভব না হলেও আনুমানিক সোয়া ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। রোববার সকালে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শহিদুল ইসলাম ও অন্যরা জানায়, রোববার সকালে উখিয়া স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বাজারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা তাৎক্ষণিক দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। কিন্তু কক্সবাজার শহর থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় নেয়। এরই মাঝে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। প্রায় দেড় ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে ১০টির মতো মুদি ও টেইলারিং দোকান, ৮টি কাঁচামালের দোকান ও এক সাংবাদিকের বাড়িসহ ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কক্সবাজার দমকল বাহিনীর ইনচার্জ আবদুল মজিদ অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া-রামু সার্কেল) আবদুল মালেক মিয়া, ওসি হাবিবুর রহমান, বাজার সেক্রেটারি রাজাপালং, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন।
উখিয়া বাজার সেক্রেটারি রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আশরাফ আলী, খোরশেদ আলম, মিঠু রুদ্র, ফরিদুল আলম, তিলকপাল, মিজান, বিমল, ছুরত আলম, শ্যামল দাশ, কামাল উদ্দিন, শাহজাহান, আবুল হোসেন, মিঠু বিশ্বাস ও অমল বিশ্বাসের দোকান ও উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগ নেত্রী সাধনা দাশ গুপ্ত, শ্যামল দাশ, রাজীব সেন, গোপাল বিশ্বাস ও মিঠু বিশ্বাসের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে।
খবর পেয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ছেনুয়ারা বেগমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এদিকে, কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোড়ের গুলজার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এক কাপড়ের গোডাউন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টা খানেকের অগ্নিকাণ্ডে গোডাউনের উপর তলার কয়েকটি ভাড়া বাসার কাচসহ নানা আসবাবও আগুনের লেলিহান শিখার কবলে পড়ে। আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিচতলার ২০-২৫টি দোকানের কাপড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে উখিয়া থেকে ফিরে দমকল বাহিনীর লোকজন পৌনে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতেও প্রায় সোয়া কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংবাদপত্র এজেন্ট সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষতিগ্রস্ত বাসার ফ্লাট মালিক মোহাম্মদ হাসিম।