পর্যাপ্ত সরবরাহেও হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৩ ১০:৪৯:৫৭


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল ছিল চালের দাম। তবে সম্প্রতি খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন উভয় ধরনের চালের মূল্য কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৪ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২ থাকা পর্যন্ত বেড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, ধানের দাম বাড়ায় বাজারে চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চাল সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। সব দোকানেই সব ধরনের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর পরেও খাদ্যপণ্যটির দাম ক্রমে বাড়ছে। মোটা জাতের ২৮ চালের প্রতি কেজি ৩৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে যা ৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। একই দিনে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩২ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে এ জাতের প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে গতকাল গুটি স্বর্ণা জাতের প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৬ টাকা। আর মিনিকেট জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা করে। এ জাতের চালের আগের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা।

এদিকে কেজিপ্রতি দাম বাড়ায় চালের বস্তার দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম প্রকারভেদে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম ও তাহের উদ্দিন জানান, পেশায় তারা ভ্যানচালক ও রিকশাচালক। চালের দাম বাড়তির দিকে থাকায় তাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ধাপে ধাপে চালসহ নানা ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সে তুলনায় বাড়ছে না তাদের আয়। চালের দাম ফের কমে এলে তাদের জন্য ভালো হয় বলে জানান তারা। এছাড়া সরকার কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে পণ্যটির বিক্রি হলেও তাদের জন্য সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তারা।

বাজারটিতে চাল কিনতে আসা মিনারা বেগম বলেন, এবার দেশে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবুও বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহে পণ্যটির দাম বাড়ছে। এর পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী স্বপন কুমার জানান, আগে হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর চাল আমদানি হতো। তবে পণ্যটির আমদানি শুল্ক বাড়ায় দুই বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে খাদ্যপণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি দেশে উৎপাদিত চালের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পণ্যটির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মিলার কর্তৃক দাম বাড়িয়ে দেয়াকে দায়ী করেন তিনি।

তবে চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় মিলাররা বলছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই চালের দাম বাড়ছে। প্রতি মণ ধান বর্তমানে ৮০০-৮২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে একই পরিমাণ ধানের দাম ছিল ৭০০-৭৫০ টাকা। অর্থাৎ পণ্যটির দাম মণপ্রতি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা বেড়েছে। ফলে বাড়ছে চালের দামও। তবে নতুন বোরো ধান বাজারে এলে চালের দাম কমে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস