খাতুনগঞ্জ বাজার

কিছুটা কমে আবার ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাজার

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৩-০৫ ১০:৪৭:৫৪


দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। কয়েক দিন ধরে বাজারটিতে মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমতির দিকে ছিল। তবে এখন তা আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। গত পাঁচদিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে পণ্য তিনটির দাম যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৫, ৩০ ও ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ সাধারণত ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চীন থেকে আদা-রসুন আমদানি করে। এতদিন পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার জেরে পণ্যটির আমদানি বন্ধ ছিল। অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীন থেকে আদা ও রসুন আমদানিও বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে মসলাপণ্যগুলোর দাম বাড়তে শুরু করে। তবে কয়েক দিন আগে ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এছাড়া চীন থেকে আদা ও রসুন আমদানি শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণার পর সবগুলো পণ্যের দাম কমে যায়। তবে আমদানি এখনো শুরু না হওয়ায় এসব পণ্যের দামে ফের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পড়েছে।

পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, বাজারটিতে গতকাল মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৬০ টাকা আর পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহের শেষ দিকে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। ওই সময় খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে মসলাপণ্যটির দাম কমে ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছিল। ওই সময় চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ যথাক্রমে ২৫-৪০ টাকা ও ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে রসুন ও আদার বাজারেও। গত সপ্তাহের শেষ দিকে দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে উভয় পণ্যের দাম। আগের সপ্তাহের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেড়ে গতকাল চীন থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি আদা ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে প্রতি কেজি আদার দাম ছিল ১১০ টাকা। তবে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে দেশে উৎপাদিত নতুন মৌসুমের রসুন। গতকাল মানভেদে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ৩৫-৬০ টাকার মধ্যে।

এদিকে খাতুনগঞ্জ বাজারে গতকাল চীন থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকার মধ্যে। আগের সপ্তাহের শেষ দিকে পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বলয় কুমার পোদ্দার জানান, প্রায় পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ ঘোষণার পর পরই বাজারে পণ্যটির দাম কমে যায়। তবে বিভিন্ন জটিলতায় পণ্যটির আমদানি এখনো শুরু না হওয়ায় ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

খাতুনগঞ্জে কাঁচাপণ্যের বিশেষায়িত মার্কেট (কাঁচা মসলাপণ্য) হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ভারত ও চীন থেকে আমদানি স্বাভাবিক হওয়ার ঘোষণা এবং দেশে উৎপাদিত নতুন মৌসুমের পণ্য বাজারে আসতে শুরু করায় গত সপ্তাহে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম আগের তুলনায় কমে গিয়েছিল। তবে আমদানীকৃত পণ্য কবে বাজারে আসতে পারে, তা নিশ্চিত না হওয়ায় চলতি সপ্তাহের পণ্য তিনটির দাম আবার বেড়েছে। সূ্ত্র: বণিক বার্তা
সানবিডি/ঢাকা/এসএস