বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের মানববন্ধনে পুলিশি বাধা
:: আপডেট: ২০২০-০৩-০৫ ১৫:২২:২৭
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার ছাত্রদলের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। তবে কর্মসূচি পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শেষ করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দাবি, তারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে সেই অনুমতি দেয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানায়, নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎই হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছিল রাবি শাখার এই দলটি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দলটির অর্ধশত নেতাকর্মী জড়ো হন। সোয়া ৯টার দিকে তারা ব্যানার হাতে মানববন্ধন শুরু করেন। এতে দলটির রাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী, মীর তারিক বিন খালিদ, মো. রাশেদ আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান হল শাখার সভাপতি সরদার জহুরুল হক, সদস্য মাহমুদুল মিঠু, জহিরুল ইসলামসহ অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন দলটির রাবি শাখার আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানিন চৌধুরী।
এ সময় প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে বিধায় দেশের মানুষের কাছে তাদের কোনো কৈফিয়ত দিতে হয় না। সরকার ইচ্ছামত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এজন্য দেশের সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। আমাদের অধিকার আছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কর্মসূচি করার অনুমতি দেয়নি।
তাঁর বক্তব্য চলাকালীন পুলিশ এসে সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদকে পাশে ডেকে নিয়ে কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে কর্মসূচি শেষ না করেই নেতাকর্মীরা চলে যান।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদেরকে কর্মসূচি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।’
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানিন চৌধুরী বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার অনুমতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেয়নি। আজকে (গতকাল) পুলিশ আমাদের কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা দলের উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎই হয়নি। কাজেই অনুমতির ব্যাপারেও কোনো কথা হয়নি।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই