করোনাভাইরাসের প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি -বাণিজ্যমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৯ ১১:০২:৫৬
বাণিজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ ‘নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ইনকোটার্মস নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কমার্শিয়াল টার্মস হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা। ১৯৩৬ সালে প্রথম আইসিসি ইনকোটার্মস সূচনা করে। গত জানুয়ারি থেকে নতুন সংস্করণে প্রকাশিত ইনকোটার্মস-২০২০ কার্যকর হয়েছে। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আইসিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং আইসিসি বাংলাদেশ ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সিইও মুহাম্মদ এ রুমি আলী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা করেই বাংলাদেশকে বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হবে। বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। নতুন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন নতুন নিয়ম-কানুন। নতুন নতুন বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস অধিক কার্যকর হবে বলে বিশ্বাস করি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। প্রয়োজনে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ ভাইরাসের প্রভাবে কাঁকড়া ও কুচিয়া শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় চাষীদের কোনো প্রণোদনা দেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো সাময়িক ব্যাপার। করোনাভাইরাস নিয়ে সারা পৃথিবীতেই তোলপাড় হয়ে গেছে। এখন শুধু আমাদের দেশ থেকেই না, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও এ ধরনের পণ্যের অনেকখানি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আমরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, সামনের দিনে আরো কী পরিমাণ ক্ষতি হবে—সেটা এখনো বলার সময় হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আপাতত চেষ্টা করা যাচ্ছে বাংলাদেশে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।
তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি আমদানি করি চীন থেকে। দেশটি থেকে তৈরি পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ প্রাথমিক উপকরণ আসে। সুখের বিষয়, সেখানে ফ্যাক্টরিগুলোয় শ্রমিকরা যাওয়া শুরু করেছে। আশা করি ওরাও (চীন) এ সংকট কাটিয়ে উঠেছে। চীনে কিন্তু মৃত্যুহার কমে গেছে। আর বিস্তারের হারও কম। তবে অন্যান্য দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা নিরূপণ করার সময় এখনো আসেনি। আমরা এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
আমদানি-রফতানির আড়ালে অর্থ পাচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, এটা দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আছে। এ সিস্টেমগুলো তাদের দেখভাল করতে হবে। বেশির ভাগ সময় যেটা বলা হচ্ছে যে, ওভারপ্রাইসিং করা হচ্ছে, ওভার ইনভয়েস করে টাকা-পয়সা নিয়ে যাচ্ছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস