১০০ জন অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি দেবে রূপালী ব্যাংক
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-১৮ ১০:২৫:২৫
মহান স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ১শ’ জন অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পাবেন রূপালী ব্যাংকের বাড়ি। একই সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে সুদমুক্ত ঋণ। দেশের ১শটি উপজেলার ১শ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা তৈরি করেছে রূপালী ব্যাংক। এর আগে ব্যাংকটি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার সম্মানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকটি এই উদ্যোগ নিয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে এসব বাড়ি পর্যায়ক্রমে নির্মাণ করে দেবে। নির্মাণ কাজ শুরু হবে চলতি মাসের শেষের দিকে। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নাম রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। সেই মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারীভাবে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধুর নামকরণ করা রূপালী ব্যাংকও সেই উদ্যোগের সঙ্গী হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দেশের ১শটি উপজেলার ১শ’ জন অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে পরিবার নিয়ে বসবাস করার উপযোগী একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। এছাড়াও রূপালী ব্যাংক মুজিব শতবর্ষে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির অংশ সারাদেশে ১শটি নতুন শাখা, ১শটি উপশাখা ও ১শটি অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) স্থাপন করবে। ‘মুজিববর্ষে শুভদিন শূন্য সুদে কৃষিঋণ’ স্লোগানে সুদমুক্ত কৃষিঋণ বিতরণ শুরু করেছে রূপালী ব্যাংক।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে টমেটো চাষীদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচীর আওতায় এই ঋণ বিতরণ শুরু করে ব্যাংকটি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোর জেলার ৫শ টমেটো চাষীকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে।
কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ কোটি টাকা সুদমুক্ত বিতরণ করবে রূপালী ব্যাংক। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ এবং রবি মৌসুমে ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে। রবি মৌসুমের ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীনের ঋণ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। জামানতবিহীন এই ঋণ গ্রহণে আবেদনকারী স্বামী-স্ত্রী বা গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে থাকবেন।