পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চান বিদেশী ফুটবলাররা
স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-১৯ ১১:০৫:৩৯
মারণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছেন সবাই। প্এই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ভয় তাড়া করছে সবাইকে। বিশ্বের প্রায় ১২৬ দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ইউরোপে যেন যমদূত হয়ে দেখা দিয়েছে এটি। এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ঢাকায় আছেন এশিয়া ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলাররা। তাদের পরিবার রয়েছে দেশে। তাই অনেকেই ফিরে যেতে চাইছেন পরিবারের কাছে। কিন্তু বিদেশের সঙ্গে অধিকাংশ ফ্লাইট বন্ধ থাকায় পারছেন না যেতে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে ভিনদেশি ফুটবলারদের।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি ফুটবলাররা সবাই আতঙ্কে রয়েছে। তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারলে আমরা বেঁচে যেতাম। কারণ, তারা পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। যদিও আমরা জানি করোনাভাইরাস যেভাবে বিস্তার শুরু করেছে, তাতে আগামী তিন মাসের মধ্যেও আর লিগ শুরুর সম্ভাবনা নেই।’
ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খানের কথায়, ‘বিদেশি ফুটবলাররা দেশে ফিরে যেতে চায়। কেউ কেউ উদ্বিগ্ন নিজেদের পরিবার নিয়ে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। তাদেরকে বলেছি এই অবস্থায় কোথাও যাওয়া যাবে না। সরকার সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। ভাবছি যদি ফ্লাইট আবার শুরু হয়, তাহলে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেব। কারণ, সবার আগে জীবন রক্ষা করা জরুরি।’
ভিন্ন কথা অন্য ক্লাব কর্মকর্তাদের মুখে। মোহামেডানের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব বলেন, ‘আমাদের ব্রিটিশ কোচ শন লেন ঢাকায় সময়টা উপভোগ করছেন। কারণ পরিস্থিতি সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদেশি ফুটবলাররাও চায় দেশে ফিরে যেতে। কিন্তু কোনো সুযোগ নেই। তাই যেতে পারছে না। ফলে ভাগ্যকে মেনে নিয়েছে সবাই। স্থানীয়দের চারদিনের ছুটি দেয়া হয়েছে। বিদেশি ফুটবলাররা ক্লাবেই থাকবে সব নিয়ম মেনে।’
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল বলেন, ‘বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। তাদের কথা শুনেছি। তারা ফিরে যেতে চাইছিল। কিন্তু তাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই ক্লাবেই তাদের থাকতে হবে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে ডাক্তারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে ক্লাবে। আশা করি, তাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘বিদেশিরা সবাই ভালো আছে। তাদের মধ্যে তিনজন পরিবার নিয়ে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টে থাকছে। তাই তাদের সমস্যা নেই। বাকি বেলফোর্ট ও সানডে ক্লাবে রয়েছে। তাদের সুরক্ষা দেব আমরা। তাছাড়া আমাদের কোচ মারিও লেমোসও এখানে থাকছেন।’
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানও বিদেশি ফুটবলারদের দেশে ফেরত পাঠাতে অপারগ। তার কথায়, ‘এখন লিগ বন্ধ। আজ (গতকাল) থেকে সবাইকে ছুটি দিয়েছি। স্থানীয় ফুটবলাররা বাড়ি চলে যাচ্ছে। বিদেশি ও কোচিং স্টাফদের ক্লাবে রেখে দিয়েছি। তারা যদি দেশে যেতে চায়, তাহলে সেখানে ১৪ দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। আবার বাংলাদেশে ফিরে এলে ফের ১৪ দিন থাকতে হবে স্বেচ্ছাবন্দি। এই সমস্যায় তারা যেতে রাজি নয়। তাদের সুরক্ষার বিষয়টি আমরা দেখব।’