মহামারী রোধে অবরুদ্ধ দেশ

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৩-২৬ ১৭:১৪:৫৪


বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে ইতোমধ্যে মারা গেছেন পাঁচ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে দেশে আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অন্যান্য বছর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন থাকলেও এবারে গণজমায়েতের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্বাধীনতা দিবসে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে না।

সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে একসাথে কার্যকর হওয়ায় হঠাৎ করেই থমকে গেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং পুরো দেশের কার্যক্রম।

প্রায় দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকার রাস্তাঘাট সকাল থেকে সম্পূর্ণ ফাঁকা। দোকানপাট বা বাজারের আশেপাশে কিছু মানুষের হঠাৎ দেখা মিললেও তা অন্যান্য সময়ের তুলনায় একেবারেই নগণ্য।
রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বেশ খানিকক্ষণ পর দেখা যায় একটি-দু’টি রিকশা বা একজন-দু’জন মানুষ।

রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট। অপ্রয়োজনে মানুষজন যেন রাস্তায় ঘোরাঘুরি না করে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন তারা।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে বিভিন্ন জেলা শহরে রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশের সরকার যদিও এই পরিস্থিতিকে ‘লকডাউন’ বলে অভিহিত করছে না, তবে অবস্থা কার্যত লকডাউনের মতই অর্থাৎ পুরো দেশ জুড়েই অবরুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পণ্যবাহী ট্রাক জেলা শহরগুলোতে প্রবেশ করতে না দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে দুধ, ডিম, মাছ, সবজির মত পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দশদিন বাংলাদেশে সবকিছু বন্ধ থাকবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস