চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ৩২ বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল পাচারের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়ারা। এই অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ওইসব চালের বস্তা আটক করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে যেয়ে ওইসব চাল উদ্ধার করেছে। চালগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান রনি গাঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কল্যাণপুর ইউনিয়নের অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দফায় দফায় কয়েক টন ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারী অসহায়দের মাঝে কিছু বিলি করার পর তার বাড়িতে গোপনে ৩২ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর চেয়ারম্যান রনি তার বাড়িতে মজুদ করা চাল একটি মিনি ট্রাকযোগে পাচার করার চেষ্টা করেন। পথিমধ্যে দক্ষিণ দাসাদী গ্রামের গাজীরহাট বাজারে ট্রাকভর্তি ত্রাণের চাল দেখে লোকজন তা আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
মুহূর্তের মধ্যে চেয়ারম্যান রনি পাটোয়ারী কর্তৃক ইতিপূর্বে হয়রানির শিকার শত শত লোক ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বিক্ষুব্ধ জনতা চেয়ারম্যান রনি পাটওয়ারীর বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রনি পাটওয়ারীর সহযোগী সফিকুল ইসলাম সফুকে বিক্ষুব্ধ জনতা মারধর করে। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
দাসাদী গ্রামের বাসিন্দা ডালিম, সুমন হাওলাদার, জাকির, শাখাওয়াত, রাজন, সুমন পাটওয়ারী, জসিম খান জানান, আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের কোন সহায়তা না দিয়ে চেয়ারম্যান রনি সরকারি চাল পাচার করেন। জেলে কার্ডের ৪০ কেজি চালের বিপরীতে দিয়েছে ২০ কেজি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। জনগণের হক মেরে রনি পাটওয়ারী ইউনিয়নে ৩টি আলিশান বাড়ি করেছে। সরকার কর্তৃক তৈরি করে দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদে অফিস না করে তার বাড়িতে অস্থায়ী অফিস করে কার্যক্রম চালান।
রাত সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।