৫০ ভাগ পোশাক কারখানায় বেতন হয়নি

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৪-১৬ ১৬:৫৯:২৭


সরকারের প্রণোদনা ঘোষণার পরেও শ্রমিকদের বেতন দেয়নি বিজিএমইএর তালিকার ৫০ ভাগ পোশাক কারখানা। প্রতিশ্রুত সময়ের একদিন আগেও বেতন হাতে না পেয়ে বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘লকডাউন’ ভেঙে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিজিএমইএ নেতারা।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, তাদের তালিকাভুক্ত দুই হাজার ২৭৪টি রপ্তানিমুখী কারখানার মধ্যে এক হাজার ১৮৬টি কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে এক হাজার ৮৮টি কারখানা এখনও শ্রমিকের হাতে বেতন দেয়নি। যারা বেতন পরিশোধ করেছে তাদের অধিকাংশই বড় বড় কারখানা।

বেতন পরিশোধ করেছে ঢাকার ৩৭২টির মধ্যে ২০১টি কারখানা, গাজীপুরের ৮১৮ কারখানার মধ্যে ৪৩২টি, সাভার আশুলিয়ার ৪৯১টি কারখানার মধ্যে ২৪৩টি, নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টির মধ্যে ১১৮টি, চট্টগ্রামের ৩২৪টির মধ্যে ১৫৬টি এবং অন্যান্য এলাকার ৪২টির মধ্যে ৩৬টি কারখানা।

বিজিএমইএর দাবি, মোট ২৪ লাখ ৭২ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জন শ্রমিক বেতন পেয়েছেন, যা মোট শ্রমিকের ৭৮ শতাংশ।

হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত যেসব কারখানা বেতন দিয়েছে সেখানে প্রতিটিতে গড়ে ১৬০০ করে শ্রমিক রয়েছে। আর যারা এখনও বেতন দেয়নি সেখানে প্রতিটিতে গড়ে ৫০০ এর মতো শ্রমিক রয়েছে।

সাধারণত মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই আগের মাসের বেতন পরিশোধ করে থাকে কারখানাগুলো। তবে চলমান বিশেষ পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছুটির প্রভাব থাকায় ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে বলে সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মালিকরা।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা গণমাধ্যমকে বলেন, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে শ্রমঘন এলাকাগুলোতে লকডাউন থাকার কারণে কেউ ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছেন না। ব্যাংকগুলোও স্বল্পতম সময়ের জন্য খুলছে, যা লেনদেন করার জন্য যথেষ্ট নয়। এর বাইরে গত ১৫ দিন ধরে কোনো ধরনের এক্সপোর্ট হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকগুলোতে কোনো নতুন এক্সপোর্টের ডকুমেন্ট জমা দেয়া যায়নি। তিন দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। এক দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের কাচামালের দায় পড়ে আছে মালিকদের ঘাড়ে। এসব কারণেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। এই কারণগুলো সবারই জানা থাকার কথা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস