ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউনের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৪-১৯ ১৭:৫০:২৩
মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষ উপস্থিতির পর এবার লকডাউন উপেক্ষা করে আজ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫(নবীনগর) থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর লেখালেখির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতেও বীরগাঁও বাজারে এমপি বুলবুল অনুসারীরা ফেসবুকে কটাক্ষকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। লকডাউন উপেক্ষা করে দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত হন। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নবীনগর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সুজিত কুমার দেব, শামীম রেজা, যুবলীগ সভাপতি সামস আলম, শ্রমিকলীগ নেতা ফোরকান উদ্দিন মৃধা, শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজহার হোসেন জামাল, নবীনগর বাজার কমিটির সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম জনিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা, ফেসবুকে এমপি বুলবুলকে নিয়ে কটাক্ষকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা থানাকান্দিতে পা কেটে পৈশাচিক খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়ায় হত্যা মামলায় পাশের বীরগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। আর এতে এমপি বুলবুলের হস্তক্ষেপ রয়েছে উল্লেখ করে কবির চেয়ারম্যানসহ তার (কবির) অনুসারীরা ফেসবুকে এমপি এবাদ্লু করিম বুলবলের ছবি দিয়ে নোংরা ভাষায় নানাভাবে পোস্ট দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এলাকায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার আবু কাউছার মোল্লার সশস্ত্র লোকজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১২ এপ্রিল দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে কাউছার মোল্লার পক্ষের লোকজন পৈশাচিকভাবে প্রতিপক্ষের রিকশাচালক মোবারক মিয়ার (৪৫) একটি পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে। পরে ওই পা হাতে নিয়ে গ্রামে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আনন্দ মিছিল করে দাঙ্গাবাজরা। পরে গুরুতর আহত মোবারক চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১৫ এপ্রিল মারা যায়। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল কবির আহমেদ চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস