নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল গঠন

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৪-২০ ২০:২৬:৫৪


করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ‘পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ২০২০’ নামে একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২০ এপ্রিল) এ ব্যাপারে একটি গাইড লাইন তৈরি করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিন বছর মেয়াদী এ তহবিলের পরিমাণ প্রয়োজন হলে আরও বাড়াবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহক ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের আয় উৎসারী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে।

নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণি/পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা কোনো অনগ্রসর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায়/নিগৃহীত নারী সদস্যরা এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ/বিনিয়োগের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং যৌথ প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ আনুপাতিক হারে বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে এ অর্থ পাবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ নেবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক সুদ/মুনাফা/সার্ভিস চার্জের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ব্যতীত অন্য কোনো চার্জ/ফি আদায় করতে পারবে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট থেকে সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের ক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড দেবে।

সানবিডি/এসকেএস