কোনো গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৫-০৭ ১৩:৩১:৫৫
করোনাভাইরাসের কারণে কোনো গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না; করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় যে পণ্য আছে আগামী ৪ মাসেও কোনো পণ্যের সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট স্টক আছে। আমরা আগে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করে রেখেছিলাম ফলে প্রচুর স্টক রয়ে গেছে। আরও ৪ মাসেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সমস্যা হবে না। টিসিবিও পণ্য বিক্রিতে প্রস্তুত আছে। বিশেষ করে ছোলার প্রচুর মজুদ রয়েছে। যদিও আগামী রোজা পর্যন্ত এটি রাখা যাবে না, তারপরেও হয়তো অনেক পরিমাণ থেকে যাবে।
আগামীকাল থেকে ২৫ টাকা দরে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে টিসিবি। আগে থেকেই টিসিবি নিজেরা এবং ডিলারের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে কোনো অনিয়ম না হয়। ঢাকায়ও মন্ত্রণালয়ের ১০টি টিম আছে এটি পর্যবেক্ষণে। আর টিসিবি আগের চেয়ে ১০ গুণ পণ্য স্টক রেখেছিল। সে কারণে আমরা কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকতে পারছি। ট্রাকে এবং ডিলারের মাধ্যমে ৫০০ স্পটে পণ্য বিক্রি করতে পারছে।
তিনি জানান, আদার ক্ষেত্রে বাজারে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু চাপ সৃষ্টি করে তা সমাধান করেছে ভোক্তা অধিকার। তারা রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজার তদারকি করছে। তারা জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করেছে। ৫০ হাজার মাস্ক দিয়েছিলাম তারা মানুষকে তা দিয়েছে। টিসিবি, ভোক্তা অধিকার ও মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ভোক্তা অধিকার এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ জায়গায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছে। জরিমানা করা কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য না, তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীদের কন্ট্রোল করার জন্য করতে হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও টিসিবির পণ্য গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছে। ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা কেউ না কেউ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, কোথাও কোথাও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী কিছু অসাধু কাজ করছে। কোথাও কোথাও অনেকের ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে। ফলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ৭ দিনে কোনো অনিয়মের রিপোর্ট পাইনি। আর জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে চিনি, তেল, ডালের দাম কমিয়ে দিয়েছে।
দোকান ও শপিংমল খোলা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রক্ষিতেই ঈদকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১০ মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকলে ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে বড় দুটি শপিংমল (বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা মল খুলবে না। এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কেউ যদি মনে করে দোকান খোলা ঠিক হবে না, তারা খুলবে না। তবে যারা খুলবে তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস