সাভারে পোশাক শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহের কাজ এখনো বন্ধ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৫-১০ ১৩:২০:৪৭


সাভারে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহের কাজ গত শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। এরপর দুদিন পেরিয়ে গেলেও আজ রোববার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের কাজ চালু হয়নি। এমন অবস্থায় রপ্তানিমুখী শিল্পে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, সাভারে সর্বশেষ আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে ২৯ জনই বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তবে নমুনা সংগ্রহের কাজ বন্ধ থাকায় এখনো শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছেন শ্রমিকদের অনেকে। এতে দিন দিন ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অবশ্য সাভার উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত, শিল্পাঞ্চল সাভার এবং আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজের উদ্যোগে তাদের শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করবে।

এদিকে, চলমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। সাভারে আল-মুসলিম গ্রুপের ১৫ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে আক্রান্তদের সামাল দিতে ১২০ শয্যার আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে আল-মুসলিম গ্রপ।

প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার এম এ মতিন জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডের কাজ শেষ হতে আগামী ২/৩ দিন লাগবে। সেটা চালু হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় নিজস্ব উদ্যোগে শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

তবে করোনা পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে পরিচয় গোপনের অভিযোগে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আর এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন করোনাভাইরাসের উপসর্গে ভোগা পোশাক শ্রমিকরা। শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা পোশাক শ্রমিকরা তাদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগ করেন।

ওইদিন ভুক্তভোগী একাধিক তৈরি পোশাক শ্রমিক জানান, শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে আসার পর তাদের জানানো হয়, এখন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আর নমুনা সংগ্রহ করবে না।

এ সময় ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, যারা নিজেদের পেশা গোপন করেছেন তাদের নমুনা ঠিকই নেওয়া হয়েছে। আর যারা নিজেদের সঠিক পেশার পরিচয় দিয়েছেন তাদের নমুনা না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষেয় জানতে চাইলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা  বলেন, ‘হাজার হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহের মতো সক্ষমতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নেই।’
সানবিডি/ঢাকা/এসএস