বিসিক শিল্পনগরী গুলোতে দৈনিক ১ হাজার ৯শত মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হচ্ছে

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৫-১২ ১৪:৩৯:২৭


করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) আওতাধীন শিল্পনগরীগুলোর চাল উৎপাদনকারী শিল্প ইউনিটসমূহে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এসব শিল্পনগরীতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৯ শত মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হচ্ছে।

বিসিক শিল্পনগরীসূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে বিসিকের ৭৬ টি শিল্পনগরীর মধ্যে ১৩টি শিল্পনগরীতে চাল উৎপাদিত হচ্ছে। করোনা সংকটকালে দেশের অভ্যন্তরীণ চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। বিসিক শিল্পনগরী পাবনায় দৈনিক ৬০০ মেট্রিক টন, রাজশাহীতে দৈনিক ৫৫০, দিনাজপুরে ৪০০, নওগাঁতে ১২০, খুলনাতে ১০৩, কুড়িগ্রামে ২৭, কক্সবাজারে ২৫, জামালপুরে ২৩ , গাইবান্ধায় ২০, শেরপুরে ১৮, রাজবাড়ীতে ৯, গোপালগঞ্জে ৩ এবং বাগেরহাটে ২ মেট্রিক টন উৎপাদিত হচ্ছে।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ কামাল পারভেজ জানান, শিল্পনগরীতে ৩৯ টি রাইস মিল রয়েছে। মিলগুলোতে দৈনিক ৬০০ মেট্রিকটন চাউল উৎপাদিত হচ্ছে , যার বাজার মূল্য দুই কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ টাকা। তিনি আরও বলেন, পাবনা বিসিকের এ.আর.স্পেশালাইজড অটো রাইস মিলস দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চালকল। এ চালকলসহ পাবনা শিল্প নগরীর বিভিন্ন রাইস মিলে উৎপাদিত চাউল রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

বিসিক শিল্প নগরী খুলনায় টানেল ভিটামিন চাল ( ছয়টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন- ভিটামিন এ, বি১, বি৯, বি১২, আয়রন ও জিংক মিশ্রিত ১ শতাংশ চাল ও ৯৯ শতাংশ সাধারণ চালের মিশ্রণে তৈরি, যা খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হয়) , ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ফুড ফ্রেন্ডলি প্রোগ্রাম (এফএফপি), সরকারের ত্রাণের চালসহ উন্নতমানের চাল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পনগরী কর্মকর্তা শেখ রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, উৎপাদিত এ চাল খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ ৩০ টি জেলায় সরবারাহ হচ্ছে।

নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, বর্তমান বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ চলছে। ধান সংগ্রহ শেষ হলে চাল কলগুলোতে উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিঁনি।

বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত চালকলগুলো থেকে সরকারও চাল ক্রয় করে থাকে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল আজিম বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে নওগাঁ বিসিক থেকে চাল সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে মালিকপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যে সরকারের চুক্তি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিসিক শিল্পনগরীর চালকলগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পাশাপাশি জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারেরও বিসিক শিল্পনগরীর এসব মিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস