প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘আম্ফান’

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৭ ১৭:৫৭:২৯


দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘আম্ফান’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। ফলে ঝড়ো হাওয়া আকারে এটি সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এটি কার্যত এখনো একই এলাকায় রয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে জরুরি বার্তায় অল্প সময়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এর আগে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার উক্ত এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। এতে প্রাথমিকভাবে সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তবে গতকাল শনিবার এটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ঈদের আগেই উপকূলে আছড়ে পড়বে।

প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শেষে ও মে মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আম্ফানের আবির্ভাব ও প্রভাব পড়েনি। তবে সেটিই এখন আবার নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস