ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানে জরিমানা ৭৬ হাজার

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৮ ১৫:৫৪:১০


মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান টানা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ দিন মোট এক হাজার ৩৪৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এডিস মশার লার্ভা প্রজননে সহায়ক পরিবেশ পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে মোট ৭৬ হাজার টাকা।

সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকেই ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটিতে একটি করে ওয়ার্ডে মোট পাঁচটি ওয়ার্ডে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।

অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়রুল হালিমের নেতৃত্বে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে মোট ৭৪৯টি বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবন ও প্রতিষ্ঠানে এ সময়ে প্রায় ৫৬৭টি স্পটে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৮টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় চারটি মামলায় মোট নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এডিস মশার সব প্রজননস্থলসমূহে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।

অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন-৭ এলাকার ৮৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় দুইটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একজনকে পাঁচ হাজার জরিমানা করা হয়, অন্যজনকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বাড়িতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারিধারা এলাকায় ১৫৩টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময়ে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে সতর্ক করা হয়েছে এবং এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় দুইটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে দুইটি মামলায় মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ও আহমেদ নগর এলাকায় ২১০টি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে তাদেরকে সতর্ক করে সেসব স্থানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়; তবে কোন জরিমানা করা হয়নি।

অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয় মোহাম্মদপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবর রোড থেকে হুমায়ুন রোড পর্যন্ত। এ সময়ে সাতটি নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ২৩৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থলসমূহ ধ্বংসপূর্বক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্ধ পরিত্যক্ত একটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ভবন মালিককে একটি মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

১৬ মে থেকে চলমান চিরুনি অভিযান এবং গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস