তেলে ‘ডুবছে’ এশিয়ার পুঁজিবাজার
প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৮ ১৫:৪০:২০
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর আরও কমেছে। এতে ধরা খাচ্ছে জ্বালানি খাতের শেয়ার। এদিকে সম্ভাব্য মার্কিন সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে প্রহর গুণছেন বিনিয়োগকারীরা। এ দুই বিষয়ের পুরো প্রভাব পড়েছে এশিয়ার পুঁজিবাজারে। আজ মঙ্গলবার নিম্নমুখী প্রবণতার দিয়ে সময় পার করছে বাজার।
রয়টার্সের খবরে বলা হচ্ছে, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের বাজার ভালো যাওয়ার প্রত্যাশা থাকার পরও এদিন এশিয়ার বাজার পড়ে যায়।
এদিন জাপানের নিক্কেই সূচক ২০৫ পয়েন্ট হারায়। গত দিনের চেয়ে সূচক ১.০৪ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়। চীনের হ্যাং সেং সূচক ১.৩৪ শতাংশ কমে বাজার অবস্থান করে ২১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে। সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১.৮৯ শতাংশ পড়ে বাজার শেষ হয় ৩ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতের বাজারেও এদিন সূচকের পতন হয়। অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ সূচক ০.৯১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ১০৮ পয়েন্টে বাজার শেষ হয়। কোচপি সূচক ০.৭৫ শতাংশ হারিয়ে বাজার অবস্থান করে ১ হাজার ৯৪৯ পয়েন্টে। ভারতের বাজারে সেনসেক্স সূচক আজ বিকেলের সেশন পর্যন্ত ০.৫৭ শতাংশ হারিয়ে ২৫ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ক্লিফ ট্যান নামের এক অর্থনীতিবিদ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সম্ভাব্য মার্কিন সুদের হার বৃদ্ধি, চীনের চাহিদা কমে যাওয়া ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্য এখন উদ্বেগ কাজ করছে। এসব কারণেই এশিয়ার পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়েছে।
উৎপাদন খাতে চীনের নেতিবাচক ধারাকে সতর্ক করে রয়টার্সের এক জরিপে উঠে এসেছে, আগামী বছরে দেশটিতে ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ।
খবরে আরও বলা হয়, এ বছর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে চীন। আর এটা হবে গত এক শতাব্দীর মধ্যে এক প্রান্তিকে সবচেয়ে শ্লথ গতি। তবে গোল্ডম্যান স্যাকসের হিসাবে দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে মোট প্রবৃদ্ধি আরও কমে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাজারে তেলের উত্তোলন কমানোর জন্য ওপেক কোনো সিদ্ধান্তে না আসার পর থেকেই আরও কমতে শুরু করেছে এই পণ্যের দাম। আজ মঙ্গলবার মার্কিন বাজারে আগামী জানুয়ারিতে ডেলিভারি হতে যাওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৩৭.৫০ ডলারে; যা গত প্রায় ৭ বছরে সবচেয়ে কম।