জাবিতে ভূলক্রমে শিক্ষক নিয়োগ, পরে প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৮ ২০:০০:৫৯


JU.Samimসিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ছিলো আবেদনকারী শিক্ষক প্রার্থীদের মধ্য থেকে তিনজনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকের ভুলে তিনজনের স্থলে চারজন প্রার্থীকে দেওয়া হয় নিয়োগের চিঠি।

নিয়োগপত্র পাওয়ার পর ওই চারজন বিভাগে যোগদানও করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নিবন্ধক ওই অতিরিক্ত একজনকে ডেকে তার নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ঘটেছে এমন বিব্রতকর ঘটনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে ড. মো. সালাহ উদ্দিন রাজিব এবং অস্থায়ী প্রভাষক পদে মো. আতিকুর রহমান ও তানজিলা হোসাইনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক এই তিনজনের সঙ্গে অপর এক প্রভাষকপ্রার্থী নিতাই চন্দ্রকেও নিয়োগপত্রের চিঠি দিয়ে সোমবারের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেন।

চিঠি পেয়ে সোমবার তারা সবাই উক্ত বিভাগে যোগদানও করেন। এরপর অতিরিক্ত একজনের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক ওই অতিরিক্ত একজনকে ডেকে তার নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

এ বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী নিতাই চন্দ্র বলেন, “আমাকে প্রথমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী আমি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে বিভাগে যোগদান করি। কিন্তু পরে নিবন্ধক সাহেব আমাকে ডেকে ভুল করে আমাকে নিয়োগপত্রটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে নিয়োগপত্র নিয়ে নেন। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “একটু ভুল বোঝাবুঝির ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আমি যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছি তৎক্ষনাত তা ঠিক করে নিয়েছি।”

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, “বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে না দেখে এটা নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি হওয়া প্রয়োজন। কারণ এটা একটা বড় ধরনের ভুল। যদি নিবন্ধক এমন বড় ভুল করে থাকেন তাহলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ