সমকামিতায় লাল বাতি

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১০ ১১:০৩:২৬


traffic1-655x360অস্ট্রিয়ার একটি শহরে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বাড়াতে সাত মাস আগে অভিনব একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতিতে সমকামিতার প্রতীকী কিছু ছবি বসানো হয়েছিল। কিন্ত শহরের চরম দক্ষিণপন্থী কর্তৃপক্ষ এখন সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছে।

অত্যাধিক ট্র্যাফিকের জন্য পথচারীদের যখন রাস্তা পার হতে দেওয়া হয় না তখন সিগন্যাল বাতিতে সাধারণত ‘স্টপ’বোঝাতে লাল রঙের একটি মানুষকে জ্বলতে দেখা যায়। আর রাস্তা পার হওয়ার কথা যখন বলা হয় তখন একটি সবুজ রঙের মানুষকে জ্বলতে দেখা যায়।

কিন্তু অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে ওই সিগন্যাল বাতিতে বসানো হয়েছিল একই লিঙ্গের অর্থাৎ দু’জন  মহিলা বা পুরুষ হাত ধরাধরি করে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে, তখন লাল রঙের, স্টপ বোঝাতে। আর হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাচ্ছে, তখন সবুজ রঙের, রাস্তা পার হোন বোঝাতে।
এটি প্রথম চালু করা হয়েছিলো ভিয়েনা শহরে, গত মে মাসে। পরে আরও কয়েকটি শহরে এই সিগন্যাল বাতি বসানো হয়।
কিন্তু চরম দক্ষিণপন্থী এক কর্মকর্তার উদ্যোগে লিৎনস শহর থেকে এখন এসব বাতি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টির একজন কাউন্সিলর মারকুস হেইন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,“ট্রাফিক লাইট হচ্ছে গাড়ি চলাচলের জন্যে। মানুষ কি ধরনের জীবন যাপন করবে সেবিষয়ে উপদেশ দেওয়ার জন্যে এই বাতি ব্যবহার করা উচিত নয়।”

তিনি বলেন, “অস্ট্রিয়ায় সমকামীদের অধিকার ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর জন্যে ট্রাফিক বাতি ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন নেই।” কিন্তু যারা এর পক্ষে ছিলেন, গ্রিন পার্টির নেতারা এসব ট্রাফিক সিগন্যাল সরিয়ে নেওয়াকে লজ্জার ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।

দলের একজন নেতার মতে, ভিন্নমতের ভিন্ন আচরণের মানুষকে যেখানে একসঙ্গে বসবাসের জন্যে উৎসাহিত করা হচ্ছে তখন এধরনের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। শুধু রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে নয়, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।