খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে ১৭শ কোটি টাকা অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৩ ১৪:১০:০৮


খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের একটি প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা) অর্থয়নের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস। দেশের ৪৫ লাখ পরিবারের জন্য জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুতের পরিমাণ ৫ কোটি ৩৫ হাজার ৫শ টনে উন্নীত করতে সংরক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই অর্থায়ন অনুমোদন দেওয়া হয়।

রোববার (২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই প্রকল্প ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোভিড-১৯ মহামারির মতো সংকটের সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

প্রকল্পের আওতায় আটটি জেলায় ধান ও গম মজুতে সরকারি আটটি আধুনিক গুদাম নির্মাণে সহায়তা দেওয়া হবে। বর্তমানে আশুগঞ্জ, মাধবপুর ও ময়মনসিংহে এ ধরনের গুদাম তৈরির কাজ চলছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে ধানের গুদাম এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় গমের গুদাম নির্মাণে অতিরিক্ত এই অর্থ ব্যয় হবে।

বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত এই অর্থ অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমের (এফএসএমএমএস) মাধ্যমে শস্য মজুত ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উন্নয়ন এবং পরিবারগুলোর দুর্যোগোত্তর চাহিদা পূরণে শস্য মজুত সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে। এছাড়া, এই প্রকল্প বিশেষ করে নারীদের জন্যে কর্মসংস্থান তৈরি করবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক গ্রামে বাস করে। তাদের জীবনযাপন, কল্যাণ ও খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকির কবলে রয়েছে। আধুনিক এই খাদ্য মজুত পদ্ধতি এবং কার্যকর বিতরণ পদ্ধতি যৌথভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষে কিংবা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির মতো সংকটকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের টিম লিডার ক্রিশ্চিয়ান বার্গার বলেন, বর্তমানে সরকারি খাদ্য বিতরণ ও শস্য গুদামে ২০ লাখ টন মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। এসব গুদামের অধিকাংশের মান খুব খারাপ। ফলে, মজুত করা শস্য গুণগত মান ও পুষ্টিমূল্য হারায়। এই প্রকল্প শস্য মজুত দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে। বাসস।