শিশুদের ই-বুক সিরিজ চালু করলো দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৫ ১৮:৪৬:৪২
দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্দ্যোগে “হারস্টোরিজ এর: অ্যাডভেঞ্চারস অফ সুপারগার্লস” অব্লম্বনে একটি ছোট গল্পের সচিত্র সিরিজ তৈরি করেছে। হারস্টোরিজ পূর্ব বাংলা এবং বাংলাদেশের ৪২ জন নারী প্রবর্তকের জীবনকাহিনী দিয়ে সাজিয়েছে এই সিরিজ, যাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, লেখক, বিজ্ঞানী এবং পর্বত আরোহী যারা পুরাতন জরাজীর্ণ নিয়ম ভেঙ্গে নতুন নিয়ম তৈরি করেছেন। অন্যান্য আইকনিক সুপার গার্লসদের সাথে রয়েছেন ফটোসাংবাদিক সাইদা খানম, মহিলা সামিটার নিশাত মজুমদার, এডভোকেট কল্পনা চাকমা এবং বিজ্ঞানী ডঃ ফেরদোসী কাদরী।
“বাংলাদেশের সমাজকে সংরক্ষণ এবং প্রভাবিত করা নারীদের উপর তৈরি করা এই বইগুলো অসম্ভব সুন্দর, বলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, তিনি আরও বলেন, “আমরা হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে এই বইগুলির সিরিজটি তৈরি করতে এবং লেটস রিডের উদ্দ্যোগে বাংলাদেশের কয়েক হাজার ছেলেমেয়েদের কাছে নিয়ে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই গল্পগুলি বিভিন্ন প্রজন্মের শিশুদেরকে অনুপ্রাণিত করবে”
হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জেরিন মাহমুদ হোসেন বলেন “অনুকরনীয় নারী ব্যক্তিত্বদের সবার সামনে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য, তাই এই উদ্যোগটি আমাদের কাজকে এখনকার বাস্তবতায় সময়োপযোগী করেছে।” তিনি আরো বলেন “এইসব গল্পগুলিকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত করায় আমরা একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছি যা অন্যদের একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে”
এশিয়ার শিশুদের জন্য তৈরি বিনামূল্যে ডিজিটাল লাইব্রেরি, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের লেটস রিড প্লাটফর্মের জন্য দুই অংশে প্রকাশিত বারোটি গল্প পুনঃ নকশার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিশুদের জন্য লেখা গল্পগুলি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই পাওয়া যাবে। অনুপ্রেরণামূলক বাঙালি নারীদের জীবন নিয়ে তৈরী এই গল্পগুলি এশিয়ান বিভিন্ন দেশের শিশুদের পড়ার জন্য আরও ৩০ টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
লেটস রিড-হারস্টোরিজ সিরিজটির উদ্বোধন এবং উদযাপন করতে, পুরো আগস্ট মাস জুড়ে অনলাইনে, লাইভ এ আয়োজন করা হবে বই পড়া এবং চিত্রাংকন কর্মশালার একটি সিরিজ। ৬ বছর বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য, প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় হারস্টোরিজ সিরিজের চিত্রশিল্পীদের সাথে সরাসরি চিত্রাংকন কর্মশালাটি লাইভ স্ট্রিমিং করবে।
প্রতি মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় লেটস রিড বাংলাদেশ এবংহারস্টোরিজ ফেসবুক পেজে পুতুলনাচ এর মাধ্যমে বইয়ের গল্পগুলি বর্ণনা করে সরাসরি হোস্ট করা হবে। লেটস রিড প্ল্যাটফর্মের সম্পূর্ণ সিরিজটি পড়তে এবং উপভোগ করতে https://letsreadasia.org এ লগ ইন করুন।
লেটস রিডঃ
লেটস রিড এমন একটি বিশ্ব তৈরি করতে চায় যেখানে কৌতূহলী এবং শিক্ষিত পাঠকরা সমৃদ্ধশালী সমাজ তৈরি করবে। এটি দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন দেশের ১৮ টি কার্যালয়ে এবং স্থানীয় ভাষার শিশুদের বইগুলির একটি অভূতপূর্ব প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল গ্রন্থাগার গড়ে তোলার উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যেখানে স্থানীয় সম্প্রদায়ের বইয়ের লেখক, পাঠক এবং অনুবাদকদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপন এবং একটি টেকসই নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। প্ল্যাটফর্মটির বর্তমানে ৩৩ টি ভাষায় ৪,৩০০ টিরও বেশি বই রয়েছে।
হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশন
হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা যারা নারী-পুরুষ সমতা, তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং নারীর অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কন্টেন্ট তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটি অনুপ্রেরণামূলক গল্পকথা, চিত্রশিল্প, নকশা এবং সংলাপ ব্যবহার করে শিশু, তরুনএবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা করে। টেকসই উন্নয়নকল্পে প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের জ্ঞান বিকাশের জন্য সচিত্র গল্পের বইয়ের মত সৃজনশীল ও অপ্রচলিত উপায়গুলি উদ্ভাবন এবং প্রয়োগের চেষ্টা করছে হারস্টোরিজ ফাউন্ডেশন। তাদের কাজ এই বিশ্বাস তৈরি করে যে, গল্পকার এবং শিল্পীরা তাদের কাজের মাধ্যমে সামাজিক রীতিনীতি এবং কুসংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেবে।
টুগেদার উই ক্যানঃ
টুগেদার উই ক্যান শিল্পীদের একটি দল যারা পুতুল নাচের একটি থিয়েটার পরিচালনা করেন এবং পুতুল নাচের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়াদি তুলে ধরেন। কাজী নওশাবা আহমেদ পরিচালিত তাদের প্রযোজনায় নারীদের প্রতি সহিংসতা, প্রতিবন্ধিতা সচেতনতা এবং নারী ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলি চিত্রায়ন করে থাকেন।
অমিয়া(কাজী নওশাবা), শম্বু পেঁচা (৭ বছর বয়সের পাপেটিয়ার – প্রকৃতি নাজরিনা আহমেদ), এবং ধ্রুব তারা (আশিকিন খান) নিয়ে হারস্টোরি রিডিং এর জন্য ১২ টি পর্বের একটি ধারাবাহিক পুতুল নাচ প্রযোজনা করেছে এই দলটি যেগুলোর পরিচালক ছিলেন কাজী নওশাবা আহমেদ , শিল্প নির্দেশনায় চয়ন কুমার দাস এবং নির্বাহী প্রযোজনায় ডা. অমিত সিনহা।