পানির নিচে যশোরের শার্শা উপজেলার কয়েকশ’ হেক্টর জমির আমন ফসল

:: প্রকাশ: ২০২০-০৮-১১ ২১:৫৩:৪৫


ইছামতি নদীর পানির প্রভাবে যশোরের শার্শা উপজেলার কয়েকশ’ হেক্টর জমির আমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল’র সীমান্তবর্তী নদী ইছামতির উজানের পানির ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এই অবস্থার তৈরি হয়েছে। আউশ আমনসহ সবজিক্ষেতও ডুবেছে পানিতে। ভারত থেকে পানি এসে ইছামতি নদী উপচে বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ইছামতি নদীর পানি বেড়েছে। এই পানি রুদ্রপুর খাল দিয়ে ঢুকে শার্শার দক্ষিণাঞ্চলের মাঠ-ঘাট ভাসিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

দক্ষিণের কায়বা, গোগা, বাগআঁচড়া, উলাশী ও পুটখালী ইউনিয়নের বিল অঞ্চল তলিয়ে ভেসে গেছে জমির ফসল। বিশেষ করে ইছামতি নদী খনন না করায় পলী জমে নদী ভরাট হয়ে পানি বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।

রুদ্রপুর গ্রামের খালধারপাড়ার সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিদিন আধাফুট করে পানি বাড়ছে বিলে। ইছামতির পানি খাল দিয়ে ঢুকে পড়ছে শার্শায়। দাদখালি খালমুখে ¯লুইস গেট থাকলেও তা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় পানি আটকানো সম্ভব হচ্ছে না।

কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, কায়বার ঠেঙামারী, আওয়ালী ও গোমর, পাšতাপাড়া, ডেয়ো ও মহিষা বিলের আশপাশের প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমি এ বছর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আউশ, আমন, সবজিসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আজ মংগলবার দুপুরে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দাদখালি খাল সহ বেশ কয়েকটি স্থানে বাধ অপসারন করা হয়েছে। অবৈধভাবে বাধ দেয়ার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে বশে কয়েক জনকে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, ইছমতি নদীটি খনন না করায় বর্ষায় প্রতিবছর নদীর পানি উপচে বাংলাদেশে ঢুকে উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। দাদখালি খালের ওপর নির্মিত স্লইজ গেটটি মেরামত করার জণ্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।