করোনায় বৈশ্বিক মন্দা
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামরিক ব্যয় কমানোর আহ্বান বাংলাদেশের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৪ ০৮:১০:১৩
বিশ্বব্যাপী ছোবল হানা করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পুরোবিশ্বজুড়ে মন্দাভাব বিরাজ করলেও বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় কমছে না। এই বিশাল সামরিক ব্যয়ের একটি অংশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জেনেভাতে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। ওই সভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান এ আহ্বান জানান। জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আজ বৈশ্বিক অর্থনীতি তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিরাজ করছে নাজুক পরিস্থিতি। এমন সময়েও কিছু দেশ কর্তৃক সামরিক ব্যয় হ্রাসের কোনও আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। বৈশ্বিক এই জরুরি অবস্থায় যাতে অর্থনীতি ঘুরে দাড়াতে পারে সেজন্য সামরিক ব্যয় হ্রাস করে উদ্বৃত্ত অর্থ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর জোর দেন তিনি।
৬৫ সদস্যবিশিষ্ট এ সম্মেলনটির প্রত্যেক সদস্যই প্রতি ১১ বছরে একবার সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সকল আন্তর্জাতিক আপোষ-আলোচনার মধ্যে এই সম্মেলনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি একমাত্র ফোরাম যেখানে নয়টি পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্রেরই অংশগ্রহণ রয়েছে।
চলতি বছরে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলায় ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই হামলায় নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শামীম আহসান আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ ঘটনাটি বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ কাঠামোকে সমর্থন ও শক্তিশালী করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে।
চলমান মহামারির প্রেক্ষাপটে হলেও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক এই সম্মেলনটি সদস্য দেশগুলোর সরাসরি এবং ভার্চুয়াল অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন-এর কার্যক্রমে যেসব বিষয় অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে সেগুলোর পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলের সমন্বিত প্রয়াসের উপর জোর দেন। চলতি বছরে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি উল্লেখ করে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ দফতরের মহাপরিচালক ও সম্মেলনের মহাসচিব তাতিয়ানা ভালোভায়া নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য নতুন বৈশ্বিক আইনি চুক্তির জন্য আপোষ-আলোচনার শুরু করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সানবিডি/এনজে