চাপে রংপুর

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১২ ১৭:০০:২১


ronyকুমিল্লার দেয়া ১৬৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়েছে রংপুর। এই প্রতিবেদন লেখার সময় আট ওভারে চার উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ৪৫। পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট নেন আবু হায়দার রনি। সৌম্যকে শুভাগতের ক্যাচ বানানোর পর সিমন্সকে ভূপাতিত করেন দর্শনীয় এক ইয়র্কারে। আজহার জাইদি ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বল হাতেও দারুণ সফল। মোহাম্মদ মিঠুন (৫) আর সাকিবকে (০) যাওয়া-আসার মাঝে রাখেন তিনি। ব্যাট হাতে শেষ দিকে ১৫ বলে ৪০ রান করে দলীয় স্কোর দেড়শ পার করেছিলেন।

এর আগে পেরেরার বিধ্বংসী বোলিং উপেক্ষা করে আগে ব্যাট করে লড়াইয়ের স্কোর গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ১৬৩। কুমিল্লার মিডল অর্ডার আর লোয়ার অর্ডার ছেঁটে ফেলার কাজটি করেন পেরেরা। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রান খরচায় ফেরান পাঁচ ব্যাটসম্যানকে।

এদিন টস হেরে শুরুতে বেশ সাবধানী ব্যাটিং করেন ইমরুল-লিটন। উইকেট না হারানোর প্রবণতা ছিল স্পষ্টত। কিন্তু তার ভেতর রানের চাকা সচল রাখেন দুজনে। ৭৯ রানের জুটি গড়ে ‘ক্ষণিকের ভুলে’ বিদায় নেন লিটন (২৮)। এগারতম ওভারের শেষ বলে সাকলাইন সজীবকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন জাতীয় দলের ডানহাতি ওপেনার। ইমরুল ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। এক উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রানের গতি বাড়াতে মাঠে আসেন ‘অলরাউন্ডার’ মাশরাফি বিন মর্তুজা (১)। কিন্তু আজ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে রুম করে পেরেরাকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে শর্ট মিড উইকেটের আকাশে বল তুলে দেন। আকাশচুম্বী বলের ওপর চোখ স্থির রেখে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এরপর রাসেলকে নিয়ে স্কোর বড় করার দিকে মন দেন ইমরুল। সাহসী কিছু শটও খেলেন। কিন্তু ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেরেরার স্লোয়ার পড়তে ব্যর্থ হন। বোলারের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তার আগে ৪৮ বলে ৬৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। এরপর একে এক চারজনকে সাজঘর দেখান ওই পেরেরা। রাসেল (৩) আর শেহজাদকে (০) পরপর দু্ই বলে ভড়কে দেন। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে রাসেলের আরেকটি স্লোয়ারে একটু দেরি করে ব্যাট চালান রাসেল। বলে চলে যায় থার্ডম্যানে দাঁড়ানো সজীবের হাতে। পরের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন শেহজাদ। আর ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে অলককে নিজের পঞ্চম শিকার বানান। অফসাইডের ঝোলানো বলে প্রলুব্ধ হন অলক। যতটা উঁচু করে মারা দরকার ছিল, ততটা পারেননি। আর তাতেই ডিপ কভারে আল-আমিনের সহজ ক্যাচে পরিণত হন।

শেষ দিকে আবু হায়দার রনিকে নিয়ে ছোট্ট একটা ঝড় তুলে আজহার জাইদি দলীয় স্কোর দেড়শ পার করেন। জাইদি ১৫ বল খেলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন।

উভয় দলই লীগ পর্ব শেষ করেছে সাত জয় নিয়ে। তবে নেট রান রেটের বিবেচনায় সাকিবদের পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মাশরাফিরা। আজ যারা হারবে তাদের একটি সুযোগ থাকবে। ফাইনালে উঠার জন্য এলিমিনেটর ম্যাচের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। এলিমিনেটর ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে বরিশাল-ঢাকা। লীগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়ে একবার করে জয় পেয়েছে  কুমিল্লা-রংপুর। প্রথমবারের দেখায় সাকিবহীন রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর দ্বিতীয়বারের মুখোমুখিতে রংপুর রাইডার্স জিতেছিলো ২১ রানে।