১৫ আগস্ট চরম বেদনার, কষ্টের ও লজ্জার দিন: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৭ ২০:৩৯:১৭
১৫ আগস্ট আমাদের জন্য চরম বেদনার, কষ্টের ও লজ্জার দিন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা পাড়ের এই অঞ্চলটি সত্যিকার অর্থে কোনো দিনই স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুই এই বঙ্গভূমি বা অঞ্চলটিকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেন। এই বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক হত্যার কথা জানি, বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কথা জানি। কিন্তু এমন নিষ্ঠুর, নির্মম, পৈশাচিক ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড কোথাও হয়নি। ১৫ আগস্ট আমাদের জন্য চরম বেদনার, কষ্টের ও লজ্জার দিন।
সোমবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও সাংস্কৃতিক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্থিত্ব কল্পনা করা যায় না, এটা বাস্তবতা বিবর্জিত। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রাদায়িক, গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও চেতনাকে, বাঙালির আত্মাকে হত্যা করতে চেয়েছিল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর রয়েছে। সেজন্য, ১৫ই আগস্টের হত্যার পিছনে যারা ছিলো, সেসব নেপথ্যের কুশীলবদের চেহারা উন্মোচন করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সেসব কুশীলবদের অনেকের চেহারা তাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে, পরিষ্কার হয়েছে, একটি কমিশন গঠন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা উচিত। লিপিবদ্ধ করে তাদের প্রকৃত চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।