শতভাগ যাত্রী পরিবহন,আগের ভাড়া ফিরবে কবে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৮ ১৩:৫৭:৫৫
প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আরোপ করা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে আগেই। এখন বাসায় বসে অফিস করার সুযোগও বাতিল করেছে সরকার। পুরোদমে শুরু হয়েছে অফিস-আদালত। গণপরিবহন ও রাজপথ ফিরেছে পুরনো রূপে। করোনাকালের সবকিছুর বদল হলেও বদলায়নি গণপরিবহনে ভাড়া। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার। কিন্তু শতভাগ আসনে যাত্রী নিচ্ছে পরিবহনগুলো। তবে ভাড়া ফেরেনি আগের জায়গায়। বাড়তি ভাড়াই নিচ্ছে তারা। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে যেসব শর্তে করোনাকালীন সময়ে গণপরিবহন পরিচালনা শুরু করা হয় সেসবের কিছুই মানা হচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসনের পরিবর্তে পরিবহনের সবকটি আসনে যাত্রী বসিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ। তবে কখনও কখনও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ৬০ শতাংশও আদায় করা হয়। এ নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন পরিচালকদের মাঝে বাগ্বিতণ্ডাও হতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দাবি, যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি ও সরকার ঘোষিত কিছুই মানা হচ্ছে না, তাই আগের ভাড়ায় ফেরা উচিত। বাড়তি ভাড়া নেওয়া অযৌক্তিক।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭, ৩২, পান্থপথ, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বাংলামটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সকালে অফিস শুরুর আগে এবং বিকালে অফিস শেষ হওয়ার পর প্রতিটি পরিবহনের সবকটি আসন ভর্তি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। মালিকদের কাছে পর্যাপ্ত পরিবহন থাকলেও তারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সবকটি পরিবহনে যাত্রী পারাপার করছে বলে অভিযোগ অনেক যাত্রীর।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী আবুল কালাম বলেন, আসলে এটা সত্য অনেক পরিবহন ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখছে না। আর মানুষও এখন আর করোনাকে ভয় পায় না। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। আমরাও চাই আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে। তাহলে আর বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আমাদের নিতে হবে না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন দেশের কোনও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না। সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। আবার এই করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়ার চেয়েও অধিকাংশ রুটে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সানবিডি/এনজে