যেই পদ্ধতিতে টাকা পাবে বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৯-০৯ ০৯:৪৬:৩৬


সদ্য লেনদেন স্থগিত হওয়া বেক্সিমকো সিনথেটিক্স লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের টাকা দেয়ার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই নির্দেশনায় কয়েকটি হিসাবের ভিত্তিতে এই শেয়ারের দাম নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

যেসব হিসাবের ভিত্তিতে শেয়ারের দাম নির্ধারণ হবে সেগুলো হলো-

১. সর্বশেষ লেনদেনকৃত দর
২. সর্বশেষ ৬ মাসের ওয়েটেড এভারেজ দর
৩. সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ি শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য

এই ৩ পদ্ধতির মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের সর্বশেষ লেনদেনকৃত দর ছিল ৮.৪০ টাকা। আর বিগত ৬ মাসের মধ্যে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দর হয়েছে ৯.৭০ টাকা। তবে অধিকাংশ সময় এর থেকে অনেক কমে অবস্থান করায় ওয়েটেড এর ক্ষেত্রে এই দর কমে আসবে। আর সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে এনএভিপিএস দাড়িঁয়েছে ১৪.১৩ টাকা। এ হিসাবে ১৪.১৩ টাকায় সব শেয়ার কিনে নেবে।

আইন অনুযায়ি, স্বেচ্ছা তালিকাচ্যুতির জন্য উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত সব শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য স্কিম তৈরী করতে হবে। এজন্য মার্চেন্ট ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। যার মাধ্যমে পুরো শেয়ার ক্রয়ের বিষয়টি সম্পন্ন হবে। তবে কেউ চাইলে শেয়ার বিক্রি না করে রেখেও দিতে পারবে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিদ্যমান আইনে সেই সুযোগ আছে কিনা। ডিএসইর আইনে বলা হয়েছে, ৩টি কারণে স্বেচ্ছা তালিকাচ্যুতি হতে পারবে।

এরমধ্যে ৫২ (১) এর (এ)তে বলা হয়েছে, গত ১ বছর স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন না হলে।
(বি) যদি উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারন ৯০ শতাংশের বেশি হয়।
(সি) যদি কোন অতালিকাভুক্ত কোম্পানি ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারন করে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের ক্ষেত্রে এই ৩টি শর্তের কোনটিই পূরণ হচ্ছে না। কোম্পানিটির শেয়ার সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) লেনদেন হয়েছে, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারধারন ৯০ শতাংশের থেকে কম এবং কোন কোম্পানির হাতেই ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারন নেই। যে কারণে বিদ্যমান আইনে তালিকাচ্যুতি হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কমিশন চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব। ২সিসি এর ক্ষমতাবলে কোম্পানিটিকেতালিকাচ্যুতির সুযোগ করে দিতে পারে।

সানবিডি/জিইউ/আরএম