একদিনে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৯-১৫ ১৭:৩৮:৪০
রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে একদিনের ব্যবধানে পেয়াঁজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।মতিঝিল ও খিলগাঁওসহ রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এবং মহল্লার দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। অধিকাংশ খুচরা দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখছে। আবার কোনো কোনো দোকানে আরও দাম বাড়ার আশায় পেঁয়াজের বস্তা ঢেকে রাখছে কিংবা দোকান বন্ধ রাখছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা অনেকটা হুমড়ি খেয়ে পেঁয়াজ কিনছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার, আরামবাগ কাঁচাবাজার, খিলগাঁও কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সূত্র জানায়, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার খবরে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সোমবার সকালে বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও সন্ধ্যার পর তা ৬৫ থেকো ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্যদিকে এদিন সকালে বিভিন্ন আড়তে প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়তে পাইকারি পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে সকাল ১১টায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকা। ফলে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খুঁচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আর পাইকারি বাজারে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
এর আগে, ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে গত বছর ভারত সরকার প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইজ (এমইপি) নির্ধারন করে দেয়। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ৩০০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ মার্কিন ডলার পূর্ণনির্ধারণ করে। পরবর্তীতে একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পুরোপুরি পেয়াঁজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। যার প্রভাবে ২০১৯ সালে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকায় উঠে যায়। এবছরও সেপ্টেম্বর মাসে (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকায় উন্নীত হয়।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলাদেশে পেয়াঁজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদন হচ্ছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বছরে ঘাটতি থাকে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি মোকাবিলায় বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
সানবিডি/এনজে