রফতানি বেড়েছে ইপিজেডের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৯-১৬ ০৭:১৩:০৩
রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) অবস্থিত কোম্পানিগুলোর রফতানি বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে ইপিজেডগুলোতে অবস্থিত কোম্পানিগুলোর রফতানির অংশ এখন ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মোট রফতানি হয়েছে ৬৪৯ কোটি ডলারের বিভিন্ন পণ্য। বর্তমানে দেশে মোট আটটি ইপিজেড রয়েছে। আরও একটি চালুর পক্রিয়ায় রয়েছে।
ইপিজেডগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বেপজার উৎপাদন এবং রফতানিতে তেমন একটা সমস্যা হয়নি।
সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই এবং মাস্ক উৎপাদনে আগ্রহী বেপজার কারখানাগুলোকে উৎসাহ ও সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
রফতানির ন্যায় বিনিয়োগও বেড়েছে ইপিজেডগুলোর। গত অর্থবছরে ইপিজেডগুলোতে ৪৭৫টি চালু এবং ৭৪টি বাস্তবায়নাধীন কারখানায় ৫২৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এসব কারখানায় প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হচ্ছে এমন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যেখানে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কোনরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই পণ্য অবতরণ, বহন, উৎপাদন বা পুন:সংযোজন ও পুন:রফতানি করা যায়। এই অঞ্চলগুলো সাধারণত বাণিজ্যের জন্য ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক স্থান, যেমন: সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, জাতীয় সীমান্ত – প্রভৃতি এলাকায় গড়ে তোলা হয়। এটি এমন একটি এলাকা যেখানে কয়েকটি দেশ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার বাণিজ্য বাধাসমূহ কমাতে বা দূর করতে সম্মত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম ইপিজেড হলো মংলা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ১৯৯৯ সালে খুলনার মংলা বন্দর এলাকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সর্বশেষ ২০০৬ সালে আদমজী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।